রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যা মামলায় আটজনকে অভিযুক্ত করে দাখিলকৃত চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক জাহিদুল ইসলাম তা গ্রহণ করেন। শিগগিরই শুরু হতে যাচ্ছে বহুল আলোচিত এই মামলার বিচার কার্যক্রম। রাজশাহী কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক আবুল হাশেম এই তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে রোববার দুপুরে আট জেএমবি সদস্যকে অভিযুক্ত করে ড. রেজাউল হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকতা মহানগর গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক রেজাউস সাদিক। গতকাল মঙ্গলবার অভিযোগপত্রের গ্রহণের ওপর শুনানির দিন ধার্য ছিলো। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যা মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে জেএমবি সদস্য খাইরুল ইসলাম বাধন, নজরুল ওরফে বাইক হাসান ও ওসমান আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর অভিযানে নিহত হয়েছেন। বাকি পাঁচজনের মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শরিফুল ইসলাম পলাতক। অপর আসামি মাসকাওয়াত আব্দুল্লাহ, রিপন, আব্দুস সাত্তার ও রহমতুল্লাহ কারাগারে রয়েছেন। এ পুলিশ কর্মকর্তা জানান, দেশব্যাপী ব্লগার, মুক্তমনা, প্রগতিশীল ব্যক্তিদের টার্গেট কিলিংয়ের অংশ হিসেবে অধ্যাপক রেজাউল করিমকে হত্যা করে জঙ্গিরা। মামলার তদন্তে এমন তথ্যই পাওয়া গেছে বলে জানান এই তদন্ত কর্মকর্তা। তিনি বলেন, শিক্ষক রেজাউল করিম হত্যা মামলার তদন্তে জেএমবির ওই আট সদস্যের জড়িত থাকার প্রমাণও পাওয়া গেছে। এছাড়া গ্রেফতারের পর চারজন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে শিক্ষক রেজাউল হত্যার দায় স্বীকার করেন। তাদের দেওয়া তথ্য ও তদন্তের ভিত্তিতে আটজনকে এ ঘটনার সঙ্গে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এর আগে গত ২৩ এপ্রিল সকালে রাজশাহী মহানগরীর শালবাগান এলাকায় নিজ বাসার অদূরে রাবির ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নিহত শিক্ষকের ছেলে রিয়াসাত ইমতিয়াজ সৌরভ বাদী হয়ে ওইদিনই বোয়ালিয়া মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। অধ্যাপক রেজাউল হত্যার বিচার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন রাবি শিক্ষার্থীরা।
