রাজনৈতিক আইসোলেশনে রয়েছে বিএনপি : ওবায়দুল কাদের

23

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি রাজনৈতিক দল হিসেবে বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছে। দেশের যে কোনো দুর্যোগে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করাই বিএনপির রাজনীতি।
তিনি বলেন, ‘যে কোনো দুর্যোগে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করাই বিএনপির রাজনীতি। দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে দেশের জনগণ তাদেরকে কর্মহীন ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ধারে কাছেও দেখেনি। তারা রাজনৈতিক আইসোলেশনের ছিল এবং আছে। দেশ ও জনগণের জীবনকে স্তব্ধ ও জীবিকা রুদ্ধ করে অর্থনৈতিক স্থবিরতার সৃষ্টির বিএনপির অপকৌশল।’
ওবায়দুল কাদের বুধবার (২৭ মে) তার সংসদ ভবনের সরকারি বাসভবন থেকে এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘অসহায় জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে গণমাধ্যমে কথামালার ফুলঝুরি বর্ষণ তাদের জননিন্দিত হাতিয়ার। দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে কর্মহীন এবং ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ধারে কাছেও তাদের দেশের জনগণ দেখেনি। তারা রাজনৈতিক আইসোলেশনে ছিল এবং আছে।’
তিনি বলেন, ‘লকডাউনের নামে দেশ ও জনগণের জীবনকে স্তব্ধ করার পাশাপাশি জীবিকা রুদ্ধ করে অর্থনৈতিক স্থবিরতার সৃষ্টির অপকৌশল তাদের মনের কথা। শেখ হাসিনা সরকার দক্ষতা ও সহযোগিতার সাথে অভিজ্ঞদের সাথে আলোচনা করেই জীবন ও জীবিকার সাথে ভারসাম্য তৈরি করার চেষ্টা করছে।’
মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলন সংগ্রামে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি নেতারা সব সময় ঝাঁঝাল কিছু শব্দ ব্যবহার করে চাতুর্যের মাধ্যমে ফায়দা হাসিলের অপচেষ্টা করে। মির্জা ফখরুল সমন্বয়হীনতার কথা বলে কি বোঝাতে চেয়েছেন তা স্পষ্ট না করে বরাবরের মতো কথামালার চাতুরি দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছেন।
দুর্যোগ মোকাবেলায় আওয়ামী লীগের সক্ষমতা ও মানবিক প্রয়াস দেশবাসীর জানা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, অতীতে দেশের বিভিন্ন দুর্যোগে শেখ হাসিনা ও তার দল গণমানুষের পাশে সবার আগে দাঁড়িয়েছে। সরকারে থাকা অবস্থায় শেখ হাসিনা সরকার দুর্যোগ মোকাবেলায় যে সক্ষমতা দেখিয়েছে তা অতীতে ও বর্তমানে বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। করোনা সংকট মোকাবেলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুসরণ ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকার দক্ষতার সাথে এগিয়ে যাচ্ছে করোনার বিস্তার রোধ ও আক্রান্তদের চিকিৎসা ও অন্যান্য কার্যক্রমে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো করোনা তহবিল গঠন, হেল্পলাইন চালুসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে। এসবের কোনোটাই বিএনপি করতে পারেনি। তবে কি দেশের জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়িত্ব নেই?
গণস্বাস্থ্য উদ্ভাবিত করোনা পরীক্ষা পদ্ধতির অনুমোদন প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, সরকার চলমান করোনা সংকট মোকাবেলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঘোষিত নীতি অনুসরণ করছে। করোনা পরীক্ষায় র‌্যাপিড টেস্ট কিটের ব্যবহার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক অনুমোদিত নয়। তবুও সরকার জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনায় নিয়ে গণস্বাস্থ্য উদ্ভাবিত কিট পরীক্ষণের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে। কিট অনুমোদনের জন্য রয়েছে সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি। সে পদ্ধতি অনুসরণ করার জন্য ওষুধ প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে। সরকার স্বাস্থ্য খাতসহ যে কোনো খাতে জনহিতকর গবেষণা উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করে স্বাগত জানায়।
দেশবাসীকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অন্ধকার সুড়ঙ্গ দেখে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। সুড়ঙ্গের শেষেই রয়েছে আশার আলো। আমি সকলকে ধৈর্য ধারণের এবং কঠোরভাবে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার আহবান জানাচ্ছি। আপনারা মনে সাহস রাখুন। দুর্যোগের অমানিশায় আমাদের সাথে আছেন একজন শেখ হাসিনা, যিনি আলো হাতে আঁধারের কাÐারি।’