Last Updated on সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪ by
রাজকীয় বেশে ফিরলেন ডেমি মুর
হলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী ডেমি মুর। এ অভিনেত্রী গত শতকে উপহার দিয়েছেন একের পর এক হিট সিনেমা। বিশেষ করে নব্বইয়ের দশকে তিনি কম্পন তুলেছেন কোটি ভক্তের হৃদয়ে। বলতে গেলে হলিউডের অঘোষিত রানি ছিলেন এই অভিনেত্রী। কিন্তু একটা সময় গিয়ে ধীরে ধীরে নিম্নমুখী হয়ে পড়ে অভিনেত্রীর ক্যারিয়ার। একপর্যায়ে হারিয়েও যান পর্দা থেকে। কিন্তু সে অবস্থান থেকে আবার রাজকীয় বেশেই ফিরলেন ডেমি মুর। অবশেষে ফিরলেন ডেমি মুর এবং বলা যায়, তার প্রত্যাবর্তন হলো রাজকীয়। ‘দ্য সাবস্ট্যান্স’ সিনেমার মাধ্যমে আবারও দর্শক হৃদয় জয় করলেন ডেমি। অনেকেই বলছেন, জীবনের সেরা অভিনয়টা ডেমি এ সিনেমায় করেছেন। হরর-কমেডি সিনেমাটি নিয়ে তিনি গিয়েছিলেন কান চলচ্চিত্র উৎসবেও। আর সেখানে পেয়েছেন অভূতপূর্ব প্রশংসা। ভ্যারাইটির সঙ্গে কথোপকথনে ডেমি জানান, ‘দ্য সাবস্ট্যান্স’ নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করেননি তিনি। অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি আসলেই জানতাম না, সিনেমাটা কেমন করবে। এর মূল ভাবনা খুবই অন্য রকম। এটুকু বুঝেছিলাম, সিনেমাটা খুবই প্রশংসিত হবে অথবা একেবারেই ব্যর্থ হবে।’ কিন্তু এ সিনেমার পরিচালক কোরেইল ফ্র্যাঁগে ‘দ্য সাবস্ট্যান্স’ নিয়ে স্পষ্ট ছিলেন। সিনেমায় মুরের চরিত্রের নাম এলিজাবেথ স্পার্কেল। তিনি একজন অস্কারজয়ী অভিনেত্রী, যিনি পরে টেলিভিশনে জনপ্রিয় হন। কিন্তু নানা কারণে তার জীবন ও ক্যারিয়ার অনিয়মিত হয়ে পড়ে। তিনি জড়ান নানা আত্মবিধ্বংসী কাজে। কোরেইলের মতে, এ চরিত্রে মুর তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে নিষ্ঠা দিয়ে কাজ করেছেন। কোরেইল বলেন, ‘চরিত্রটির জন্য এমন একজন অভিনেত্রীর প্রয়োজন ছিল, যিনি নিজেকে ও তারকাখ্যাতিকে উপস্থাপন করেন। কিন্তু আমি নিশ্চিত ছিলাম, এ রকম বাস্তব অভিজ্ঞতার কোনো অভিনেত্রী সিনেমায় আসবেন না। কেননা তারা নিজেদের ভীতি নিয়ে একটু সরে থাকতে পছন্দ করেন।’ তবে ডেমি মুর সেটিই করেছেন। কেননা নিজের ভীতি ও সংকটকে তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে কোরেইল বলেন, ‘ডেমি তার জীবনের এমন পর্যায়ে পৌঁছেছেন, যেখানে তিনি নিজের ভয়, অবস্থা ও অবস্থান স্বীকার করে নিয়েছেন। এ ছাড়া চরিত্রের সব ধরনের বৈপরীত্য ও আত্মবিধ্বংসী বিষয়গুলো তিনি খুব শান্তভাবে নিজের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে সমাধান করেছেন।’ ১৯৮৪ সালে ‘সেন্ট এলমোরস ফায়ার’, ১৯৮৬ সালে ‘আবাউট লাস্ট নাইট’-এর পর ব্যাপক জনপ্রিয় অভিনেত্রী হয়ে ওঠেন ডেমি মুর। নব্বইয়ের দশকে তিনি ছিলেন দুর্দান্ত সফল। ‘ঘোস্ট’, ‘ইনডিসেন্ট প্রপোজাল’, ‘আ ফিউ গুড মেন’, ‘স্ট্রিপটিজ’, ‘জিআই জেন’-এর মতো সিনেমা করে পেয়েছেন আকাশ সমান জনপ্রিয়তা।