বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৮ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১ রজব, ১৪৪৬ হিজরি

Last Updated on জুলাই ৪, ২০২৪ by

রাজশাহী-কলকাতা যাত্রীবাহী ট্রেন
রহনপুর-সিঙ্গাবাদ হয়ে চালুর দাবিতে রেলমন্ত্রীকে ডিও জিয়া এমপির

প্রস্তাবিত রাজশাহী-কলকাতা যাত্রীবাহী ট্রেন রহনপুর-সিঙ্গাবাদ হয়ে চালুর দাবিতে রেলমন্ত্রীকে ডিও দিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (নাচোল-গোমস্তাপুর-ভোলাহাট) আসনের সংসদ সদস্য ও বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মু. জিয়াউর রহমান।
বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় রেলভবনে অনুরোধ জানিয়ে রেলমন্ত্রীর হাতে ডিওটি তুলে দেন তিনি।
মু. জিয়াউর রহমান জানান, রহনপুর-সিঙ্গাবাদ হয়ে রাজশাহী-কলকাতা যাত্রীবাহী ট্রেনটি চালুর দাবি জানিয়ে আমাকে আবেদনপত্র দেয় রহনপুর রেলবন্দর বাস্তবায়ন পরিষদ। তারই প্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় রেলভবনে মাননীয় রেলমন্ত্রীর কাছে একটি ডিও হস্তান্তর করি।
ডিওতে মু. জিয়াউর রহমান বলেছেন, “আমার নির্বাচনী এলাকা ৪৪, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-০২ এর অধীন নাচোল, গোমস্তাপুর, ভোলাহাটসহ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা, রাজশাহী জেলা ও নওগাঁ জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা, তারা পশ্চিমবঙ্গের মালদহ হয়ে কলকাতা যাবে। অতি সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন  শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় রাজশাহী অঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবি রাজশাহী-কলকাতা ট্রেন চালু হতে যাচ্ছে। এতে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট কৃতজ্ঞ। এরই প্রেক্ষিতে আমি ব্রিটিশ আমলের নির্মিত রহনপুর-সিঙ্গাবাদ রেলরুট দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেনটি চলালচলের দাবি জানাচ্ছি।”
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চল হতে এরই মধ্যে কলকাতায় বেশ কয়েকটি ট্রেন অন্য পথে চলাচল করছে। রাজশাহী হতে মালদহের দূরত্ব ৯০ কিলোমিটার এবং মালদহ থেকে কলকাতার দূরত্ব ২১০ কিলোমিটার। সর্বমোট দূরত্ব ৩০০ কিলোমিটার।
তিনি ডিওতে আরো উল্লেখ করেন, “হাজার হাজার মানুষের প্রাণের দাবি ট্রেনটি রাজশাহী হতে রহনপুর-সিঙ্গাবাদ হয়ে কলকাতা রুটে চালুর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানাচ্ছি।”
উল্লেখ্য, গত ২২ জুন ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকের পর রাজশাহী-কোলকাতা ট্রেন চালুর এ ঘোষণা আসে।
প্রসঙ্গত, রাজশাহীসহ চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে প্রতিদিনই শত শত রোগী চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। আত্মীয়তার কারণেও অনেক মানুষ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে যান। এছাড়া আমদানি-রপ্তানির কারণে ব্যবসায়ীদেরও কলকাতাসহ বিভিন্ন রাজ্যে যেতে হয়। সরাসরি ট্রেন চালু হলে সবার দুর্ভোগ আর ভোগান্তি কমবে বলে মনে করেন বিশিষ্টজনরা।

About The Author

শেয়ার করুন