চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার রহনপুর রেলওয়ে শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারত-নেপাল-বাংলাদেশ ত্রিদেশীয় ট্রানজিট দেওয়ার বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্তকে অভিনন্দন জানিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াহেদ।
সোমবার আব্দুল ওয়াহেদ তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে আরো বলেন-নেপালের নদীপথে বন্দর সুবিধা না থাকায় তারা বাংলাদেশের মংলা বন্দর ব্যবহার করে পণ্য আমদানি রপ্তানি করবে। মংলা বন্দর ব্যবহার করলে নেপাল এর সময় ও খরচ কম হওয়ায় নেপাল যেমন লাভবান হবে ঠিক বাংলাদেশ বন্দর চার্জ হ্যান্ডেলিং ও রেল খাত থেকে প্রচুর রাজস্ব আহরণ করবে। এই ট্রানজিট চুক্তি বাস্তবাযনের জন্য জরুরি প্রয়োজন রহনপুর রেলওয়ে শুল্ক স্টেশনকে বন্দরে রূপান্তর করা, অবকাঠামো উন্নয়ন, কাস্টমের বিভিন্ন দপ্তর ও কর্মকর্তা নিয়োগ, ব্যাংকিং সুবিধা সৃষ্টি, পর্যাপ্ত রেলওয়ে ইঞ্জিন সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। রহনপুর রেলওয়ে পূর্ণাঙ্গ রেলবন্দর হিসাবে চালু হলে আমাদের (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) জেলার কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। বর্তমানে ভারত-বাংলাদেশের রহনপুর দিয়ে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ রেলওয়ে পর্যাপ্ত ইঞ্জিন সরবরাহ না থাকায় এ বন্দর দিয়ে সঠিকভাবে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে না। প্রতিদিন ভারত থেকে দুইটি করে র্যাক আমদানির চুক্তি থাকলেও একটির বেশি র্যাক আসছেনা। এতে করে উভয় দেশের আমদানি-রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন-রহনপুর রেওয়ে স্টেশন এলাকায় রেলওয়ের প্রচুর জমি পড়ে রয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে উপর্যুক্ত চাহিদাগুলো পুরণ করা প্রয়োজন।