বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১ জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

Last Updated on নভেম্বর ১২, ২০২৪ by

‘রঙিলা কিতাব’ প্রসঙ্গে যা বললেন পরীমণি

ওটিটি প্ল্যাটফর্ম থেকে সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমণি অভিনীত ওয়েব সিরিজ ‘রঙিলা কিতাব’। সিরিজটিতে সুপ্তি ওরফে পরীমণি তার সেরা অভিনয়টাই করার চেষ্টা করেছেন। প্রথম দৃশ্য থেকে শুরু করে পুরো সিরিজে নিজের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। চরিত্রের প্রয়োজনে কিছুটা ওজন বাড়িয়ে একজন অন্তঃসত্ত্বা নারীর চরিত্র ফুটিয়ে অনায়াসে সুপ্তি হয়ে উঠেছেন। মা হওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তগুলোর অভিনয় ঠিকঠাক চেষ্টায় সফল হয়েছেন তিনি। স্বামী মারা যাওয়ার দুই বছর পর শেষ দৃশ্যে সন্তান নিয়ে ফেরারি জীবন শেষে যখন নিজের এলাকায় বাড়ির সামনে এসে দাঁড়িয়ে রহস্যময় দৃষ্টিতে তাকান, সেই দৃষ্টি অনেক প্রশ্ন ছুড়ে দেয় দর্শকদের মাঝে। সিরিজটি প্রসঙ্গে পরীমণি বলেন, ‘এটা আমার প্রথম ওয়েব সিরিজ বলে নয়, এই কাজটি আমার প্রথম প্রেমের মতো স্মরণীয় একটি কাজ। অনেক গুণী মানুষদের সাথে কাজ করতে পেরেছি। চমৎকার একটি গল্পে সুন্দর নির্মাণ। আমার কাজের জার্নির মধ্যে এটা একটি সেরা জার্নি।’ সিরিজটির গল্পে, ক্ষমতা, প্রতিশোধ ও এক অন্তহীন সংঘর্ষের ভেতর দিয়ে একটি গভীর প্রেমের কাহিনিকে উপস্থাপন করা হয়েছে। গল্পের শুরুতে দেখা যায়, নদীর তীরে মাথাবিহীন একটি লাশ পাওয়া যায়। যা নিয়ে পুরো এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। পরে একটি দোকানের পাশে ব্যাগের ভেতর থেকে মাথাটিও পাওয়া যায়। জানা যায়, মৃত ব্যক্তি এই এলাকারই ক্ষমতাসীন এমপি। লাশের পাশে পাওয়া মোবাইল ফোনটির সূত্র ধরে সন্দেহভাজন হিসেবে খোঁজা শুরু হয় প্রদীপকে। সঙ্গে খোঁজা হয় তার স্ত্রী সুপ্তিকেও। রঙিলা কিতাব সিরিজটি এমনই রহস্যঘেরা এক প্রেক্ষাপটে শুরু হয়। কখনো মনে হবে এটি প্রতারণা ও প্রতিশোধের গল্প। আবার কখনো মনে হবে এটি মাতৃত্বের মায়া ও রাজনৈতিক জটিলতার ভেতরে গড়ে ওঠা টানটান উত্তেজনাময় এক থ্রিলার। গল্পের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে প্রদীপ ও সুপ্তির সংসার। মফস্বলের সাধারণ জীবনে তাদের সুখ যেন চোখে পড়ার মতো। কিন্তু নতুন জীবন শুরুর আগেই এক মিথ্যা অভিযোগে তাদের সবকিছু এলোমেলো করে দেয়। গর্ভবতী সুপ্তি প্রিয় স্বামীর সাথে পালিয়ে জীবন বাঁচাতে ছুটতে থাকে। কিঙ্কর আহসানের উপন্যাস ‘রঙিলা কিতাব’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই সিরিজটি নির্মাণ করেছেন পরিচালক অনম বিশ্বাস। সুপ্তির চরিত্রে প্রাণবন্ত অভিনয় করেছেন পরীমণি, প্রদীপের চরিত্রে মোস্তাফিজ নূর ইমরান এবং আরো অভিনয় করেছেন-ফজলুর রহমান বাবু, মনোজ প্রামাণিক, ইরেশ যাকের, তানভীন সুইটি প্রমুখ। ২০১৫ সালে ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড়পর্দায় অভিষেক হয় পরীমণির। প্রায় ২৫ টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। ভালো গল্পের চরিত্রে বেশি বেশি কাজ করে দর্শকের মনে স্মরণীয় হয়ে থাকতে চান এই অভিনেত্রী।

 

About The Author

শেয়ার করুন