Last Updated on সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪ by
যোগাযোগযন্ত্র ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা ইরান রেভ্যুলুশনারি গার্ডসের
ইরানের ইসলামিক রেভ্যুলুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) তার সব সদস্যকে যেকোনও রকম যোগাযোগ যন্ত্র ব্যবহারে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। লেবাননে হিজবুল্লাহর পেজার ও ওয়াকিটকিতে একযোগে বিস্ফোরণের পর সাবধানতা স্বরূপ এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইরানের দুই জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তার বরাতে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স গতকাল সোমবার এ খবর জানিয়েছে। ওই দুই কর্মকর্তার একজন বলেছেন, যোগাযোগে ব্যবহৃতসহ সবরকম যন্ত্র নিরীক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে আইআরজিসি। এসব যন্ত্রের অধিকাংশই হয় দেশে উৎপাদিত অথবা চীন ও রাশিয়া থেকে আমদানিকৃত। গত মঙ্গলবার, লেবাননে হিজবুল্লাহ সদস্যদের প্রায় তিন হাজার পেজার একযোগে বিস্ফোরিত হয়েছে। পরদিনই আবার কয়েকশ’ ওয়াকি-টকি বিস্ফোরিত হয়। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৯ জন নিহত ও তিন হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। এই ঘটনাকে হামলা হিসেবে অভিহিত করছে লেবানন ও হিজবুল্লাহ। দু’পক্ষ থেকেই এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করা হচ্ছে। অবশ্য হামলায় সম্পৃক্ততার বিষয়ে কোনো বক্তব্য দেয়নি ইসরায়েল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, দেশে ইসরায়েলি গোয়েন্দার অনুপ্রবেশ ও ইসরায়েলের কাছে অর্থের বিনিময়ে বিক্রি হওয়া ইরানিদের নিয়েও চিন্তিত আইআরজিসি। এজন্য মধ্য থেকে উচ্চ পর্যায়ের সেনা কর্মকর্তাদের ওপর তদন্ত চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘দেশে ও দেশের বাইরে, নজরদারিতে থাকা কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব, তাদের ভ্রমণের ইতিহাস, এসব তথ্যও পর্যালোচনা করা হবে। কর্মকর্তার দাবির সত্যতা যাচাই করতে পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করেছে রয়টার্স। তবে তাদের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার সদস্যের আইআরজিসি বাহিনী কীভাবে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ নিশ্চিত করছে, এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি ওই নিরাপত্তা কর্মকর্তা। তিনি বলেছেন, ‘আমরা আপাতত এ- টু এ- এনক্রিপশন ব্যবহার করে বার্তা পাঠাচ্ছি।’ ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিস্ফোরিত বেশ কিছু যন্ত্রাংশ তেহরানে পাঠানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা সেগুলো পরীক্ষা করে দেখছেন।