Last Updated on সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪ by
যে কারণে স্মার্টফোনে ব্লুটুথ ব্যবহারে সতর্ক থাকবেন
স্মার্টফোনে ডাটা আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে অনেকেই ব্লুটুথ ব্যবহার করে থাকেন। তবে ব্লুটুথের ব্যবহার শেষে অনেকেই মনের অজান্তে ব্লুটুথ বন্ধ করেন না অর্থাৎ প্রয়োজন ছাড়াও দীর্ঘ সময় ব্লুটুথ চালু রেখে দেন। এই অভ্যাসটি কিন্তু বিপদে ফেলতে পারে আপনাকে। কারণ হ্যাকাররা ব্লুটুথের মাধ্যমেও স্মার্টফোনের অ্যাক্সেস পেতে পারে।
জেনে নিন কীভাবে-
ব্লুবাগিং
ব্লুবাগিং এমন একটি শব্দ, যা সম্পর্কে বেশিরভাগ স্মার্টফোন ব্যবহারকারী সচেতন নয়। কিন্তু, এটি ব্যবহারকারীদের জন্য খুবই বিপজ্জনক হতে পারে। এর মাধ্যমে হ্যাকাররা যেকোনো ডিভাইস হ্যাক করে স্পর্শকাতর তথ্য চুরি করতে পারে। সহজ ভাষায় ব্লুবাগিং হলো এমন একটি পদ্ধতি, যাতে হ্যাকাররা ব্লুটুথের সাহায্যে যেকোনো ফোন হ্যাক করে এবং এতে ম্যালওয়্যার ইনস্টল করে।
সতর্ক থাকবেন যেভাবে-
এই কৌশলের কারণে যেকোনো ডিভাইস হ্যাক হতে পারে। হ্যাকাররা সেইসব ব্যবহারকারীদের টার্গেট করে, যারা সবসময় তাদের ব্লুটুথ চালু রাখে। বিশেষ করে পাবলিক প্লেস, রেলস্টেশন, বাস স্টেশনের মতো পাবলিক প্লেসে লোকজনকে টার্গেট করে।
ভুল করেও এই ভুল করা উচিত নয়
> ব্লুবাগিং প্রতিরোধ করতে, কোনো ভুল করা উচিত নয়।
> নিজেদের ব্লুটুথ পাসওয়ার্ড শক্তিশালী রাখতে হবে, বেশিরভাগ ব্যবহারকারী ১২৩৪ বা কিছু সাধারণ পাসওয়ার্ড রাখে, যা হ্যাক করা সহজ।
> প্রয়োজনে স্বয়ংক্রিয় যোগদান বিকল্পটি চালু করতে হবে। অন্যথায় এটি সর্বদা বন্ধ রাখা উচিত।
> প্রথমেই সংযুক্ত ডিভাইসগুলো সরাতে হবে।
> কাজের সময় ব্লুটুথ চালু রাখা উচিত নয় এবং বিশেষ করে পাবলিক প্লেসে এই ভুল করা উচিত নয়।
> ব্লুটুথের মাধ্যমে ফোনে আসা ডেটা সাবধানে পরীক্ষা করা উচিত।