নন-স্ট্রাইকার প্রান্তের ব্যাটসম্যানরা অনেক সময়েই বোলার বল ছোড়ার আগে পপিং ক্রিজ থেকে বেড়িয়ে যান। মাঝেমধ্যে বোলাররা সতর্ক করেন আবার সরাসরি রান আউটও করে দেন। আউটের পর উঠত বিতর্কের ঝড়। টানাটানি হতো ক্রিকেটের চেতনা নিয়ে। ১৯৪৭ সালে যে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন ভারতের সাবেক অলরাউন্ডার ভিনু মানকাড়। ডেলিভারির আগেই পপিং ক্রিজ ছেড়ে বেড়িয়ে আসা অস্ট্রেলিয়ার বিল ব্রাউনকে আউট করেছিলেন তিনি। এরপর থেকে সেটি মানকাড আউট নামেই পরিচিত। ক্রিকেটের আইনে ঢুকে পড়লেও তা এতদিন চেতনার পরিপন্থি হিসেবে স্বীকৃত ছিল। তবে গতকাল নিয়মে বদলের প্রস্তাব দিয়েছে ক্রিকেটের আইন প্রণেতা মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি)। আগামী অক্টোবর থেকে মানকাড আউট কোনোভাবেই আর ক্রিকেটের চেতনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে না। তাছাড়া ক্রিকেটের আরো কিছু নিয়মেও পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছে এমসিসি। করোনা ভাইরাস আসার পর বলে মুখের লালা লাগানো নিষিদ্ধ। সেটা এবার চিরতরে নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে। কারণে গবেষণায় দেখা গেছে, লালা লাগানো ছাড়াও বলে সুইং পাওয়া যায়। কোনো ব্যাটসম্যান ক্যাচ আউট হওয়ার আগে প্রান্ত অতিক্রম করলেও নতুন ব্যাটসম্যান এসে ব্যাটিং প্রান্তে দাঁড়াবেন। শুধু মাত্র ওভারের শেষ বলে ক্যাচ আউট হলে ব্যাটারদের প্রান্ত বদল হবে। যদি বল করার মুহূর্তে কোনো ফিল্ডার অবৈধভাবে সরে যান তাহলে ব্যাটিং দলকে ৫ রান পেনাল্টি হিসেবে দেওয়া হবে। এখনকার যুগে ব্যাটসম্যানরা অনেক সময় ক্রিজের আশপাশে করেন। তাই সে অবস্থায় ওয়াইডের দাগের বাইরে দিয়ে বল গেলেই তাকে ওয়াইড দেওয়া যাবে না। ব্যাটসম্যান কোথায় ছিলেন তার ওপর নির্ভর করবে সেটি ওয়াইড কি না।