যেভাবে কাস্টিং কাউচ থেকে নিজেকে রক্ষা করেছিলেন এশা

1

সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম নেতিবাচক দিক কাস্টিং কাউচ। কাজের বিনিময়ে অভিনেতা-অভিনেত্রীর কাছ থেকে ‘বিশেষ’ সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে প্রায়ই। বিশেষ করে এই কাস্টিং কাউচের শিকার হন অভিনেত্রীরা। কয়েক বছর আগে বিষয়টি নিয়ে বলিউডে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা হয়েছিল। এবার কাস্টিং কাউচ নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা জানালেন অভিনেত্রী এশা গুপ্তা। তিনি জানান, দুইবার এরকম ঘটনার মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। এশার দেওয়া তথ্য অনুসারে, এক প্রযোজক তার কাছ থেকে যৌন সুবিধা নিতে চেয়েছিলেন। তবে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করে দেন। এরপর সেই প্রযোজক নির্মাতাকে কড়াভাবে বলে দেন, যাতে এশাকে ওই ছবিতে দেখা না যায়। যদিও এশা সেই সিনেমা ও প্রযোজকের নাম প্রকাশ করেননি।

এশা বলেন, ‘আমি শুনেছি, তারা আমাকে নিয়ে বলতো যে, যদি আমি কিছু না-ই করি, তাহলে আমাকে সিনেমায় নিয়ে তাদের লাভ কী!’ অন্য আরেকটি ঘটনা প্রসঙ্গে এশা জানান, দুজন ব্যক্তি তাকে কাস্টিং কাউচের ফাঁদে ফেলার জন্য ষড়যন্ত্র করছিল। তবে নিজের বুদ্ধিমত্তায় সেটা ধরতে পারেন অভিনেত্রী। তবে ওই ছবিটি তিনি করেছিলেন। কারণ তারা বেশিদূর এগোয়নি। এশার ভাষ্য, ‘সে ভেবেছিল যে, আউটডোর শুটিংয়ের সময় আমি তার ফাঁদে পা দেবো। আমিও চালাক ছিলাম; বলেছিলাম, আমি একা ঘুমাবো না। এজন্য আমি আমার মেকআপ আর্টিস্টকে রুমে ডেকে এনেছিলাম ঘুমানোর জন্য।’

কাস্টিং কাউচ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে এশা গুপ্তা বলেছেন, ‘তারা মনে করে, আমরা যদি কাজ চাই, তাহলে আমাদের দিয়ে যে কোনো কিছু করিয়ে নিতে পারবে।’ প্রসঙ্গত, এশা গুপ্তাকে সর্বশেষ দেখা গেছে ২০১৯ সালে, ‘ওয়ান ডে: জাস্টিস ডেলিভারড’ সিনেমায়। তার অভিনীত ‘ফাইল নম্বর ৩২৩’ ও ‘দেশি ম্যাজিক’ ছবিগুলো মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া