যুদ্ধ বিশ্বের খাদ্য সরবরাহ বিপর্যয়ের মুখে ফেলেছে : জাতিসংঘ মহাসচিব

5

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সোমবার সতর্ক করে বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর ‘ক্ষুধার তা-ব এবং বৈশ্বিক খাদ্য ব্যবস্থার বিপর্যয়’ মোকাবিলায় বিশ্বকে অবশ্যই পদক্ষেপ নিতে হবে। নিরাপত্তা পরিষদে অর্গানাইজেশন ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড কো-অপারেশন ইন ইউরোপ’র (ওএসসিই) এক ব্রিফিংয়ের ফাঁকে মহাসচিব এ কথা বলেন। সেসময়ে জাতিসংঘ প্রধান বলেন, ‘এই যুদ্ধ ইউক্রেনকে ছাড়িয়ে গেছে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ ও দেশগুলোর ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।’ তিনি বলেন, যুদ্ধের আগেও উন্নয়নশীল দেশগুলো মহামারি থেকে পুনরুদ্ধারে রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতি, ক্রমবর্ধমান সুদের হার এবং ঋণের বোঝা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে লড়াই করছিল। এখন তাদের রুটির ঝুড়িতে বোমা ফেলা হচ্ছে। জাতিসংঘ প্রধান সতর্ক করে বলেন, জাতিসংঘের বৈশ্বিক খাদ্য মূল্য সূচক সর্বোচ্চ স্তরে রয়েছে এবং বিশ্বের ৪৫ টির বেশী দেশ তাদের গমের চাহিদার অন্তত এক-তৃতীয়াংশ ইউক্রেন বা রাশিয়া থেকে আমদানি করে। এসব দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে বুরকিনাফাসো, মিশর, কঙ্গো, লেবানন, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান এবং ইয়েমেন।

এ ছাড়া ইউক্রেন বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির অর্ধেকেরও বেশী গম সরবরাহ করে থাকে। ‘ক্ষুধার তান্ডব এবং বৈশ্বিক খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থার বিপর্যয় এড়াতে আমাদের অবশ্যই যথাসাধ্য চেষ্টা চালাতে হবে’ এ কথা উল্লেখ করে তিনি অবিলম্বে এই যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানান। ২০২২ সালে ওএসসিই’র ঘূর্ণায়মান সভাপতিত্বের দায়িত্বে থাকা পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ ছিল ‘একটি কৌশলগত ব্যর্থতা।’ জেবিগনিউ রাউ বলেছেন, এর ফলে মস্কো বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে তাদের কৌশল পরিবর্তন করেছে। ‘এটি দুঃখজনক ও লজ্জাজনক এবং এটি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের সমতুল্য’ এ কথা উল্লেখ করে রাউ বলেন, রাশিয়ার আগ্রাসন ‘ওএসসিই’র অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলেছে।