রান আউট হয়েছেন ভেবে হাঁটা দিয়েছিলেন ড্রেসিং রুমের দিকে। আবার ২২ গজে ফিরেছেন, টিভি রিপ্লে দেখিয়েছে আউট হয়েছে আরেকজন। খানিকপর বেঁচে গেছেন সহজ ক্যাচ দিয়ে। আগেও হতে পারতেন স্টাম্পড, ক্যাচ জমা হতে পারত স্লিপে, হতে পারতেন কট অ্যান্ড বোল্ড। এত কিছুর পরও ইমরুল কায়েস পারেননি বড় কিছু করতে, দলকে জেতাতে। কেন? উত্তরটা দিচ্ছেন ইমরুল স্বয়ং। আরেক পাশে মোসাদ্দেক হোসেন বিদায় নিতেই ‘নার্ভাস’ হয়ে গিয়েছিলেন এই ওপেনার! সাব্বির রহমানের সঙ্গে ইমরুলের ৭৫ রানের জুটিতেই এগিয়ে যাচ্ছিল দল। দুজনের দৃষ্টিকটু রান আউটে ভাঙল জুটি। ভেঙে পড়ল দলের ইনিংসও। একপাশে ইমরুলকে রেখে একে একে ফিরলেন মাহমুদউল্লাহ, সাকিব, মোসাদ্দেক। ইমরুলের সঙ্গে তখন উইকেটে অভিষিক্ত তানবীর হায়দার। বাইরে অপেক্ষায় আরেক অভিষিক্ত নুরুল হাসান। ব্যাটসম্যান বলতে এই। দলের ভরসা তখন ইমরুল। কিন্তু তিনি যে নিজের ওপরই ভরসা হারিয়ে ফেলেছিলেন! ম্যাচের পরদিন টিম হোটেলের সমানে দাঁড়িয়ে ইমরুলের অকপট স্বীকারোক্তি, “আমার টিকে থাকা তো অবশ্যই দরকার ছিল। আমি চেষ্টা করছিলাম। সাকিব আউট হওয়ার পরে মোসাদ্দেকের সঙ্গে একটা জুটি গড়ার চেষ্টা করছিলাম। মোসাদ্দেক আউট হওয়ার পরে একটু নার্ভাস হয়ে যাই।” যখনই ঠিক করছিলাম যে একটু স্ট্রোক খেলব, তখনই আউট হয়ে যাচ্ছিল কেউ না কেউ। এজন্য ভাবনা বদলাতে হচ্ছিল বারবার।” মোসাদ্দেক আউট হওয়ার চার বল পরই বাজে এক শটে ৫৯ রানে ফেরেন ইমরুল। একটু পর ফেরেন তানবীরও। ১ উইকেটে ১০৫ থেকে বাংলাদেশ হয়ে যায় ৭ উইকেটে ১৪১! ভুল থেকে শেখার সেই পুরোনো প্রতিশ্রুতি আবার উঠে এলো ইমরুলের কণ্ঠে। “দুটি ওয়ানডে থেকে আমরা অনেক কিছু বুঝতে পেরেছি, শিখেছি। সামনে কাজে লাগানোর চেষ্টা করব এসব।”