মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে এক পান্না খনিতে ভূমিধসের ঘটনায় অন্তত ৩০ জন নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। কাচিন রাজ্যের পাহাড়ি শহর হাপাকান্তে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। গত সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। শহরটিতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও আকর্ষণীয় পান্নার খনিটি অবস্থিত। ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে অনেকেই পাহাড়ের পাদদেশে মাটি খননকারী স্থানীয় লোকজন বলে ধারণা করা হচ্ছে। যাদের অনেকে খনির পরিত্যক্ত গর্তগুলোতে কাজ করে এবং বসবাস করে।
মে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত মিয়ানমারে যখন বর্ষার ভরামৌসুম ওই সময়ে ভারি বৃষ্টিপাতে ওই এলাকায় নিয়মিত প্রাণঘাতী ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনাস্থলে তল্লাশি এবং উদ্ধার কাজ চলছে। এর মধ্যে কেউ কেউ জেড পাথরের খোঁজে পুনরায় সেখানে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করে দিয়েছেন বলে জানান উদ্ধারকর্মীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন উদ্ধারকর্মী বিবিসিকে বলেন, আমরা এখনও সেখানে কোনো মৃতদেহ খুঁজে পাইনি। মিয়ানমারের জান্তা সরকার গ্রেপ্তার করতে পারে এই ভয়ে ওই উদ্ধারকর্মী নিজের নাম প্রকাশ করেননি।
মিয়ানমার জান্তাদের আয়ের অন্যতম উৎস এই জেড খনিগুলো। একই এলাকায় ২০২০ সালের জুলাই মাসে ভূমিধসে অন্তত ১৬২ জনের মৃত্যু হয়। তার আগে ২০১৫ সালে ভূমিধসের অন্য একটি ঘটনায় ১১০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারান। বর্ষা মৌসুমের কারণে জেড পাথরের খনিতে বর্তমানে কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় অনেকে নিজেরাই মাটি খুঁড়ে পাথর বের করে।