Last Updated on সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৪ by
মিয়ানমারে ঝড় ও বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৪, নিখোঁজ ৮৯
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে সৃষ্টি হওয়া বন্যা ও ভূমিধসে মিয়ানমারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৪ জনে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকারি গণমাধ্যম। রবিবার মিয়ানমারের গ্লোবাল নিউলাইট গণমাধ্যম জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বন্যার কারণে ৭৪ জনের প্রাণহানি হয়েছে এবং নিখোঁজ রয়েছে আরও ৮৯ জন। গত সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড় ইয়াগি আঘাত হানার পর সৃষ্টবন্যা ও ভূমিধসে মিয়ানমার, ভিয়েতনাম, লাওস ও থাইল্যান্ডে সরকারি হিসাব অনুযায়ী এ পর্যন্ত মোট ৩৫০ জন মারা গেছে। নিখোঁজ লোকজনকে উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছে উদ্ধারকর্মীরা এবং বন্যায় ৬৫ হাজার বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে ও পাঁচটি বাঁধ বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে মিয়ানমারের সরকারি গণমাধ্যমটি। এর আগে শুক্রবার জান্তা সরকারের বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল, মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩৩ জনে এবং দুইলাখ ৩৫ হাজার লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। বন্যার পানিতে মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলের বিস্তীর্ণ ফসলি জমি ডুবে গেছে। নিচু এলাকা হিসেবে পরিচিত রাজধানী নেইপেডুসহ আশপাশের এলাকা এখনও পানির নিচে রয়েছে। খবর পাওয়া গেছে, পাহাড়ি এলাকাগুলোতে ভূমিধসের ঘটনা ঘটছে। বন্যায় আক্রান্ত এলাকাগুলোতে রাস্তা-ঘাট ও সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, টেলিফোন ও ইন্টারনেট সেবা ভেঙে পড়েছে। ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করাটাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০২১ সালে মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে গৃহযুদ্ধে জর্জরিত দেশটিতে সাম্প্রতিক বন্যা দুঃস্বপ্নহয়ে দেখা দিয়েছে। সরকারি বাহিনী ও বিরোধীসশস্ত্র সংগঠন গুলোর মধ্যে সংঘাতে এ পর্যন্ত ২৭ লাখ মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। বন্যার ক্ষয়ক্ষতি এতটাই বেশি যে এক বিরল ঘটনা হিসেবে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাইংগত শনিবার আন্তর্জাতিক সাহায্যের অনুরোধ জানিয়েছেন। এর আগে দেশটিতে বিদেশ থেকে কোনো মানবিক সাহায্য পণ্য প্রবেশ করতে দেওয়া হতোনা।