মাস সেরার দৌড়ে এগিয়ে যারা
ওয়ানডে অভিষেকে ইতিহাস গড়ে ক্যারিয়ারের শুরুতেই দারুণ স্বীকৃতি পাওয়ার সম্ভাবনা জেগেছে চার্লি ক্যাসেলের। আইসিসির ‘প্লেয়ার অব দা মান্থ’ পুরস্কারের মনোনয়ন পেয়েছেন স্কটল্যান্ডের এই পেসার। জুলাই মাসের সেরার লড়াইয়ে তার সঙ্গে আছেন ওয়াশিংটন সুন্দার ও গাস অ্যাটকিনসন। গত মাসের সেরার লড়াইয়ে থাকা পুরুষ ও নারী ক্রিকেটারদের নাম সোমবার ঘোষণা করে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থা-আইসিসি। মেয়েদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন শ্রীলঙ্কার চামারি আতাপাত্তু এবং ভারতের স্মৃতি মান্ধানা ও শেফালি ভার্মা। গত মাসে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ লিগ-২ ম্যাচে বিশ্বের প্রথম বোলার হিসেবে ওয়ানডে অভিষেকে ৭ উইকেট নেন ক্যাসেল। ডান্ডিতে ওমানের বিপক্ষে ¯্রফে ৫.৪ ওভার বোলিং করেই তিনি ৭ উইকেট শিকার করেন ২১ রানে, ওয়ানডে অভিষেকে যা সেরা। জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অভিষেক টেস্ট সিরিজে আলো ছড়ান ইংল্যান্ডের পেসার অ্যাটকিনস। তিন ম্যাচের সিরিজে তার শিকার ২২ উইকেট। এর মধ্যে লর্ডসে অভিষেক ম্যাচেই নেন ১২টি। ইংল্যান্ডের হয়ে টেস্ট অভিষেকে যা দ্বিতীয় সেরা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষে জিম্বাবুয়ে সফরে দ্বিতীয় সারির ভারতীয় দলের হয়ে দারুণ পারফর্ম করেন ওয়াশিংটন। পাঁচ টি-টোয়েন্টিতে তার শিকার ৮ উইকেট, জেতেন সিরিজ সেরার পুরস্কার। পরে শ্রীলঙ্কা সফরের তিন টি-টোয়েন্টিতেও সামর্থ্যরে ছাপ রাখেন তিনি। মেয়েদের এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে চমৎকার ব্যাটিং করেন আতাপাত্তু। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে প্রথম ব্যাটার হিসেবে এক আসরে তিনশ রান করেন তিনি। দুই ফিফটি ও এক সেঞ্চুরিতে ১০১.৩৩ গড়ে আসরে তার সংগ্রহ ৩০৪ রান। একই টুর্নামেন্টে আলো ছড়ান মান্ধানা। টানা দ্বিতীয়বার মাস সেরার স্বীকৃতি পাওয়ার দৌড়ে আছেন তিনি। জুলাইয়ের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৪৯ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন তিনি। একই দলের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে করেন ৪৭ ও ৫৪ রান। পরে এশিয়া কাপের সেমি-ফাইনাল ও ফাইনালেও তার ব্যাট থেকে আসে পঞ্চাশছোঁয়া ইনিংস। প্রায় তিন বছর পর এই স্বীকৃতি পাওয়ার সম্ভাবনা জাগিয়েছেন শেফালি। ২০২১ সালের জুনে প্রথম সেরার স্বীকৃতি পান তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে মাত্র ১৯৭ বলে ২০৫ রান করেন তিনি। পরে এশিয়া কাপে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন তিনি।