Last Updated on নভেম্বর ৩০, ২০২৪ by
মালয়েশিয়ায় ভয়াবহ বন্যায় ১ লাখ ২২ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত
মালয়েশিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে টানা বর্ষণে সৃষ্ট বন্যায় ১ লাখ ২২ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। দেশটির দুর্যোগ কর্মকর্তারা গতকাল শনিবার এ কথা জানিয়েছেন। দেশের চলমান এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ ২০১৪ সালের ভয়াঙ্কর বন্যা পরিস্থিতিকেও ছাড়িয়ে গেছে। ওই বছর বন্যায় ১ লাখ ১৮ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছিল। ভারী বর্ষণ অব্যহত থাকায় দুর্যোগ কর্মকর্তারা বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন। দুর্যোগে কেলান্তান, তেরেঙ্গানু ও সারাওয়াক অঞ্চলে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার তথ্য অনুসারে, বন্যায় বেশি ক্ষতি হয়েছে কেলান্তান রাজ্য। রাজ্যটির ৬৩ শতাংশ বা ১ লাখ ২২ হাজার ৬৩১ জন বাস্তুচ্যুত হয়েছে। তেরেঙ্গানুতে প্রায় ৩৫ হাজার লোককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আরও সাতটি রাজ্য থেকে বাস্তুচ্যুতির খবর পাওয়া গেছে। চলতি সপ্তাহের প্রথমে শুরু হওয়া ভারী বর্ষণের কারণে কেলান্তানের পাসির পুতেহ ব্যাপক বন্যার সৃষ্টি হয়। ওই শহরে লোকজনকে কোমড় পানিতে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে দেখা যায়। পাসির পুতেহ অঞ্চলের স্থানীয় বাসিন্দা ও স্কুলের দারোয়ান জামরাহ মজিদ বলেন, বুধবার থেকে আমার এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ইতোমধ্যেই আমার এলাকায় পানি পৌঁছে গেছে। বন্যার পানি আমার বাড়ির করিডোর থেকে মাত্র দুই ইঞ্চি দূরে আছে। সৌভাগ্যক্রমে, আমি আমার দুটি গাড়ি পানির স্তর বৃদ্ধির আগেই একটি উঁচু ভূমিতে নিয়ে গিয়েছিলাম। মোহাম্মদ জুলকারনাইন বলেন, আমার আশপাশে কোন যানবাহনের প্রবেশ বা বাহির হওয়ার কোন উপায় নেই। তিনি তার বাবা-মায়ের সঙ্গে পাসির পুতেহতে বসবাস করছেন। বন্যার কারণে তারা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছেন। তিনি আরও বলেন, অবশ্যই আমি ভয় পাচ্ছি। ভাগ্যক্রমে আমরা এনজিও থেকে কিছু সহায়তা পেয়েছি। তারা আমাদের বিস্কুট, ইনস্ট্যান্ট নুডুলস ও ডিমের মতো খাবার সরবরাহ করেছে। উপ-প্রধানমন্ত্রী ও সংসদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আহমেদ জাহিদ হামিদি বলেছেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্যগুলোতে উদ্ধারকারী নৌকা, চার চাকার গাড়ি ও হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে।