Last Updated on মার্চ ১১, ২০২৫ by
মার্চের প্রথম ৮ দিনেই ৯৯৩৪ কোটি টাকা রেমিটেন্স এসেছে
জুলাই বিপ্লবের পরপরই দেশে রেমিটেন্স প্রবাহের গতি ফিরে এসেছে। সেই ধারাবাহিকতায় চলতি মার্চের প্রথম ৮ দিনে ৮১ কোটি ৪২ লাখ ৯০ হাজার ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীরা। বাংলাদেশী মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ৯ হাজার ৯৩৪ কোটি টাকা। এসময়ে প্রতিদিন গড়ে এসেছে ১০ কোটি ডলারের (১ হাজার ২৪১ কোটি টাকা) বেশি। রেমিটেন্স প্রবাহের এ ধারা অব্যাহত থাকলে মার্চের পুরো সময়ে ৩৪ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ডিসেম্বরে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ (প্রায় ২৬৪ কোটি ডলার) রেমিটেন্স আসে। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিটেন্স এসেছে গত ফেব্রুয়ারিতে (প্রায় ২৫৩ কোটি ডলার)।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের মার্চ মাসের প্রথম আট দিনে প্রবাসী বাংলাদেশীরা ৮১৪.২৯ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত এবং বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ২৯৯.৮০ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে, যেখানে বেসরকারি ব্যাংকগুলো ৫১২.৯৪ মিলিয়ন ডলার পেয়েছে।
ছয়টি রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকÑ অগ্রণী, জনতা, রূপালী, সোনালী, বেসিক এবং বিডিবিএল ২৩১.৩৫ মিলিয়ন ডলার পেয়েছে এবং একটি রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকÑ বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ৬৮.৪৫ মিলিয়ন ডলার পেয়েছে। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের মাধ্যমে দেশে সর্বোচ্চ ১৬০.১৩ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর অর্থপাচার কমেছে। একই সঙ্গে কমেছে হুন্ডি কারবারির দৌরাত্ম্যও। অন্যদিকে, খোলাবাজারের মতো ব্যাংকেও রেমিটেন্সের ডলারের দাম পাওয়া যাচ্ছে। এসব কারণে প্রবাসীরা বৈধপথে রেমিটেন্স পাঠাতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এছাড়া আসন্ন ঈদুল ফিতর ঘিরেও বেড়েছে রেমিটেন্স প্রবাহ।
এসময়ে কোনো রেমিটেন্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ৯টি। এসব ব্যাংকের মধ্যে রয়েছেÑ রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছেÑ সিটিজেনস ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক। এছাড়া বিদেশী ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছেÑ হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক।