Last Updated on অক্টোবর ১১, ২০২৪ by
মহাষ্টমিতে মণ্ডপগুলোয় ভক্তরা
শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাষ্টমিতে জেলার পূজামণ্ডপগুলোয় শুক্রবার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। সকাল থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে চণ্ডিপাঠে মুখরিত ছিল মণ্ডপ অঙ্গন। চন্দনের সুবাস স্নিগ্ধ করে তুলে পরিবেশ। সকাল থেকেই পুণ্যার্থী ও ভক্তরা আসতে থাকেন মন্দিরে। দেবী দুর্গার পায়ে অঞ্জলি দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ভক্তরা। করেন আরাধনা। প্রার্থনা করা হয় দেশ, জাতি আর জাগতিক সকল প্রাণির মঙ্গলের জন্য। আগত ভক্তরা জানান, মহামায়ার এই আগমনের মধ্যদিয়ে বিদায় হবে সকল অশুভ শক্তি। অশান্ত পৃথিবীতে যেন শান্তি ফিরে আসে সেই কামনাই ছিল মহাষ্টমিতে দেবীর কাছে। উৎসবের সঙ্গে মিল রেখে ভক্তরা নতুন নতুন পোশাক পরে আসেন প্রতিমার পায়ে অঞ্জলি দিতে।
এদিকে, সকাল ৬ টা থেকে বারঘরিয়া বাইশপুতুল সর্বজনীন দুর্গা মন্দিরে ভক্তরা নিয়ে আসতে থাকেন ভোগ। আয়োজকরা জানান, এবার মণ্ডপে ভক্তদের উপস্থিতি থাকায় উৎসবের আমেজ এবং আরতিতেও ভিড় ছিল।
পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা জানান, সকাল থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত মণ্ডপগুলোতে দর্শনার্থীদের আগমন ঘটে। মন্দিরগুলো তাদের নিজ নিজ ব্যবস্থাপনায় প্রতিমা বিসর্জনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া মন্দিরে মন্দিরে বিশেষ প্রাথর্নার আয়োজন করা হয়। জেলা শহরের বড় ইন্দারা এলাকার প্রতাপচন্দ্র দাস দেবোত্তর দুর্গামন্দিরের পুরোহিত ধনঞ্জয় চ্যাটার্জি বলেন, মহাষ্টমিতে মায়ের কাছে প্রার্থনার জন্য অনেক ভক্তের সমাগম ঘটে। অপশক্তির বিনাশ ঘটিয়ে সবাইকে সুখে-শান্তিতে বসবাস করার সুযোগ দিবেন। সকল ভেদাভেদ ভূলে ভ্রাতৃত্ববোধ গড়ে উঠবে। অপরদিকে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরের উপকন্ঠ বারঘরিয়ায় পালন করছে রাজশাহী অঞ্চলের মধ্যে সবচাইতে বড় ২২টি মূর্তি নিয়ে বাইশপুতুল দুর্গাপূজা। বারঘরিয়া বাইশপুতুল সর্বজনীন দুর্গা মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক শ্রী মৃণাল কান্তি পাল শান্ত জানান, আনুমানিক ১৭০৫ সাল থেকে এ পূজাটি বংশানুক্রমিকভাবে হয়ে আসছে।