মহানন্দায় রাবারড্যাম নির্মাণ প্রকল্প: জুনের মধ্যে ৪০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পরিকল্পনা

30

চাঁপাইনবাবগঞ্জে মহানন্দা নদীর ওপর রাবারড্যাম নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলেছে। এরই মধ্যে ৩২ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। আগামী জুনের মধ্যে ৪০ ভাগ কাজ সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। বাকি ৬০ ভাগ আগামী শুষ্ক মৌসুমে করা হবে। এদিকে আরো বেশি জনবল নিয়োগ করে আগামী বন্যার আগেই কাক্সিক্ষত কাজ তোলার জন্য সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ১৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৫৩ মিটার রাবারড্যাম নির্মাণ ও নদী খনন করার কার্যাদেশ দেয়া হয় ২০২১ সালের ২৫ আগস্ট। নদী খনন আগে শুরু হলেও রাবারড্যাম নির্মাণ কাজ ওই বছরের ১ নভেম্বর শুরু হয়। নির্মাণকাজ সমাপ্তির তারিখ নির্ধারণ করা হয় ২০২৩ সালের ৫ মে।
গত ৬ মার্চ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার। এররপ থেকে নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।
গত সোমবার রাবারড্যাম প্রকল্প এলাকা সরেজমিনকালে কথা হয় স্থানীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদের সঙ্গে। তিনি প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সময়মতো কাজ তোলার জন্য তাগিদ দেন এবং কাজের মান যেন কোনোভাবেই ক্ষুণ্ন না হয় সেদিকেও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
এ সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেছুর রহমান বলেনÑ ইতোমধ্যে রাবারড্যাম নির্মাণ কাজের ৩২ ভাগ শেষ হয়েছে এবং আগামী জুন মাসের মধ্যে সবমিলিয়ে ৪০ ভাগ কাজ সম্পন্ন করা হবে। এরপর বর্ষার কারণে হয়তো কাজ করা যাবে না। আগামী শুষ্ক মৌসুমে বাকি ৬০ ভাগ কাজ শেষ করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই কর্মকর্তা।
জানা যায়, দেশের সর্ববৃহৎ এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে নদী-সংলগ্ন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, ভোলাহাট, গোমস্তাপুর, শিবগঞ্জ ও নাচোল উপজেলায় পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত হবে এবং ৮ হাজার হেক্টর মতো জমি চাষের আওতায় আসবে। ফলে ৫৫ কোটি ৫৫ লাখ ৬৬ হাজার টাকা মূল্যের ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হবে। সেই সঙ্গে মহানন্দা নদীতে ৬৫ কিলোমিটার বিশাল জলাধার তৈরি হবে। ফলে প্রতিবছর ২ কোটি টাকার মাছ উৎপাদন করা যাবে এবং ভূগর্ভস্থ পানির স্তর বৃদ্ধি হবে। এতে বরেন্দ্র অঞ্চলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হবে এবং জনসাধারণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটবে। মহানন্দা নদী ফিরে পাবে নাব্যতা, পাওয়া যাবে দেশী মাছ, বরেন্দ্র এলাকাসহ বিস্তীর্ণ এলাকার জনসাধারণ হবে উপকৃত, ফিরে আসবে জীববৈচিত্র্য, রক্ষা পাবে পরিবেশের ভারসাম্য।