মহানন্দায় উদ্ধার মরদেহটি ভারতের শম্পার

18

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে মহানন্দা নদীতে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাতনামা নারীর মরদেহ উদ্ধারের পর তার পরিচয় মিলেছে। ওই নারী ভারতীয় নাগরিক। ২৫ বছর বয়সী ওই নারীর নাম শম্পা খাতুন। তিনি পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার ইংলিশ বাজার থানার মোসলেমপুর গ্রামের বাসিন্দা ইনাউল শেখের মেয়ে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার পর শিবগঞ্জ থানার সোনামসজিদ চেকপোস্ট ও ভারতের মহদীপুর জিরো পয়েন্টে বিজিবি-বিএসএফের উপস্থিতিতে তার মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন- ভারতীয় ইংলিশ বাজার থানার লুকাচুরি ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই ঝোটন প্রসাদ, ওই এলাকার পঞ্চায়েত প্রধানসহ পরিবারের লোকজন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোমস্তাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শওকত আলী।
পুলিশ জানায়, উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাতনামা ওই নারী গত ২৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টার পর ভারতীয় অভ্যন্তরে মহানন্দা নদীর ওপর নির্মিত শাহপুর ব্রিজ হতে নদীতে লাফ দেয়। পরে তার মরদেহটি নদীর স্রোতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরে ভেসে আসে। গত রবিবার গোমস্তাপুর উপজেলার চৌডালা ইউনিয়নের বালুটঙ্গী গ্রামের মহানন্দা নদীর চেয়ারম্যান ঘাট এলাকায় ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি দেখতে পান স্থানীয় ব্যাক্তিরা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই নারীর মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন এবং তার পরিচয় শনাক্তের জন্য ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যেই মালদা জেলার ইংলিশ বাজার থানার মাধ্যমে গোমস্তাপুর থানার ওসিকে ওই নারীর বিষয়ে সংবাদ দেয়া হয়। ওই নারীর নাম শম্পা খাতুন। মালদা জেলার ইংলিশ বাজার থানার মোসলেমপুর গ্রামের ইনাউল শেখের মেয়ে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোমস্তাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শওকত আলী বলেন, ১ অক্টোবর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়। পরিচয় শনাক্তের পর ওই উদ্ধারকৃত নারীকে আইনি কার্যক্রম শেষে সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সোনামসজিদ চেকপোস্ট ও মহদীপুর ভারত-বাংলদেশ জিরো পয়েন্ট দিয়ে বিজিবি এবং বিএসএফের উপস্থিতিতে ইংলিশ বাজার থানার লুকাচুরি ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই ঝোটন প্রসাদের কাছে মরদেহটি হস্তান্তর করা হয়। ওই সময় শম্পার বাবা ইনাউল শেখ, আত্মীয়-স্বজন ও পঞ্চায়েত প্রধান উপস্থিত ছিলেন।