Last Updated on ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪ by
মল্লিকপুরে নিহতরা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত ছিল না : সংবাদ সম্মেলনে দাবি পরিবারের
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের মল্লিকপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত মাসুদ রানা ও রায়হানের পরিবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে তারা সঠিক তদন্তপূর্বক হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তারা দাবি জানান, কোনো নিরপরাধ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়। তারা দাবি করেন, নিহতরা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত ছিল না।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নাচোল উপজেলার ইলা মিত্র পাঠাগারে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- খলসী গ্রামের উত্তর চরিপাড়ার নিহত মাসুদ রানার বাবা এজাবুল হক এবং নিহত রায়হান আলীর বাবা আব্দুর রহিম ও তার দুই বড় ভাই আলী আকবর ও জাহাঙ্গীর আলম।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, আমাদের নিহত ছেলেদের নিয়ে ফেসবুকে একটি কুচক্রী মহল রাজনৈতিক প্রচার করছে যে, নিহতরা ছাত্রলীগ করত। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আমাদের ছেলেরা কোনো দিন কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত ছিল না। এই মিথ্যা গুজবের আমরা তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমাদের ছেলেদেরকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মেরে ফেলেছে।
সংবাদ সম্মেলনে তারা আরো বলেন- ঘটনার ১২ থেকে ১৫ দিন পূর্বে খলসী গ্রামের একটি পেয়ারা বাগানে আমাদের গ্রামের লেবারের সর্দার আব্দুস সালাম ও বাহির মল্লিকপুর গ্রামের সাধারণ লেবার শাহীন বাগানে পলিথিন (পিপি) বাঁধার কাজ করছিল। কাজ করাকালীন কোনো এক সময়ে গোপনে আব্দুস সালামের প্র¯্রাব করার ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয় শাহীন। বিষয়টি সালামের নজরে আসলে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
এরই জের ধরে গত ১৭ ডিসেম্বর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের মল্লিকপুর গরুর হাটে মল্লিকপুর শহীদ জিয়া সংঘ আয়োজিত বিজয় দিবসের পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে রাত ১১টার দিকে সালামের লোকজন অনুষ্ঠান দেখতে আসলে শাহীন ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা সালামসহ তার খলসী গ্রামের লোকজনের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। সে সময় তাদেরকে নিষেধ করতে গেলে মাসুদ, রায়হানসহ আরো চারজনকে ছুরিকাঘাত করলে তারা গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে প্রেরণ করে। পথিমধ্যে মাসুদ ও রায়হান মারা যান। বাকি আহত চারজনকে ভর্তি করেন। তাদের মধ্যে সুমন নামের একজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এদিকে নাচোল থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, এ ঘটনায় ১০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৩ জনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।