ভ্যাপসা গরমের মাঝে শহরের বিনোদন কেন্দ্র গুলোতে মানুষের ঢল

44

মুসলমান ধর্মের ত্যাগ ও মহিমার বড় উৎসব হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আযহা। আর এ উৎসবকে ঘিরে ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়ে আনন্দের এক পরিবেশ। ছোট বড় সকলের মাঝে ব্যাপকহারে তৈরি হয় মিলনের এক মুহুর্ত। গ্রাম থেকে শহর সর্বত্র খুশির ঝিলিক লক্ষ্য করা যায়। ঈদের ছুটিতে তাইত ছোট বড়, শিশু বৃদ্ধ সকলেই বেরিয়ে পড়ে এক অনাবিল আনন্দের অšে^ষণে নানা বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। ঈদের নামায শেষে নিজ নিজ পরিবারের সকলে পশু কোরবানিতে ব্যস্ত হয়ে উয়ে উঠে। ছোট থেকে বড়ড়া কোরবানির গোস্ত একে অন্যকে বিলি করা হয়। যা এক অন্যরকম মূহুর্ত। সব কাজ শেষে তাই পরিবার পবিজন নিয়ে বেড়িয়ে পড়ে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ঘুরতে।

চাঁপাইনবাবঞ্জ শহরে ঠিক বিনোদন কেন্দ্র না থাকলেও হাতে গোনা যে কয়টি বিনোদন স্পট রয়েছে এবারের ঈদের ছুটিতে সেসব স্থানে ব্যাপক লোকসমাগম লক্ষ্য করা গেছে। পরিবার পরিজন নিয়ে সবাই ঈদের আনন্দ উপভোগ করার জন্যে ছুটে গেছে সে সব স্থানে। শহরের বীর শ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর সেতু, দৃষ্টি নন্দন পার্ক, শেখ হাসিনা সেতু, দক্ষীণ শহর পার্ক, বাবু ডাইং, রুহুল বাঁধ, ঐতিহাসিক ছোট সোনামসজিদ, তোহাখানা, সোনামসজিদ গৌড় শিশু পার্ক, হর্টিকালচার সেন্টার, শিশুপার্কসহ এ সকল স্থানে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। কেউ পরিবারের সকল সদস্য নিয়ে কেউ বা ছোট সন্তানদের নিয়ে কেউ বা প্রিয়তমাকে নিয়ে, যে যেভাবে পেরেছে এ আনন্দে সামিল হয়েছে। সকালের চেয়ে বিকাল ও সন্ধায় সবচেয়ে বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

মানুষের পদচারণায় সামান্য হলেও এ সব স্থানে যানজটের কবলে পড়তে হয়েছে ঘুরতে আসা মানুষজনকে। এ সুযোগে অটোরিকশার কোন কোন চালক বাড়তি ভাড়া আদায় করেছে। সর্বত্র এবার আইনশৃক্সখলা বাহিনীকে টহল দিতে দেখা গেছে। যার ফলে কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ঘুরতে আসা শহরের বিভিন্ন মহল্লার পরিবারের সাথে কথা বললে তারা জানান, কাজের জন্যে পরিবার নিয়ে ঘুরাঘুরি করা হয় না। তাই ঈদের ছুটিতে পরিবার নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছি। নদী দেখব বলে এসেছিলাম, সাথে আমাদের নৌকা ভ্রমণও হয়ে গেল। তাই খুব ভাল লাগছে। শেখ হাসিনা সেতু এলাকায় ঘুরতে আসা শহরের প্রফেসর পাড়ার এক পরিবারের সদস্যের কাছে জানতে চেয়েছিলাম ঈদ কেমন কাটছে ? জবাবে তিনি বললেন খুব ভাল লাগছে বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরতে, তবে ভিড়টা অনেক অনেক বেশি। তবুও বিভিন্ন স্থানে ঘুরছি, কারণ এমন খুশির দিনতো আর প্রতিদিন পাব না। এমন অনেক পরিবারের সাথে কথা বললে সকলেই জানান ঈদের পরিবেশ খুব ভাল, আমাদের ঘুরতে বা রাস্তাঘাটে কোন রকম সমস্যায় পড়তে হয়নি। অটো কিংবা রিকশাও পেয়েছি সময়মত তবে ভাড়াটা একটু বেশি নিয়েছে কেউ কেউ।

ঈদ মানে খুশি ঈদ মানে আনন্দ। সে আনন্দকে ভাগাভাগি করে নিতে তাইত মানুষ পিছপা হয়নি। যে যেভাবে পেরেছে ঈদের আনন্দ উপভোগ করেছে। বছর ঘুরে ঈদ এসেছে বলেই মানুষের ঘরে ঘরে আজ উৎসব হচ্ছে। ঈদের ত্যাগ ও আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়–ক এটাই প্রত্যাশা।