‘সঠিক পুষ্টিতে সুস্থ জীবন’ এই প্রতিপাদ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট ও শিবগঞ্জে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ শুরু হয়েছে। শনিবার সকালে জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাস্তবায়নে এর উদ্বোধন করা হয়। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :
ভোলাহাট : চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাস্তবায়নে ও জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উদ্বোধন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে সকাল ১০টায় পুষ্টি কমিটির আলোচনা সভা নিজস্ব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে তাবাসসুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান রাব্বুল হোসেন। স্বাগত বক্তব্য দেনÑ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. হাসান আলী। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেনÑ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সুলতান আলী, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, ভোলাহাট প্রেস ক্লাব সভাপতি গোলাম কবির, ভোলাহাট সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পিয়ার জাহান, দলদলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক চুটুসহ অন্যরা।
এ সময় সপ্তাহের উদ্বোধন ও ২৩ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত দিবসের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা এবং বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
শিবগঞ্জ প্রতিনিধি : উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুুষ্ঠিত হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়রা খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেনÑ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাকিব-আল-রাব্বি।
আবাসিক মেডিকেল অফিসার আজিজুল হক সুইটের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেনÑ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শিউলি বেগম, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সুনাইন জামান ও ছত্রাজিতপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম রাব্বানী ছবিসহ অন্যরা।
সভায় বক্তারা বলেন, দেশে দারিদ্র্যতা কমলে পুষ্টিহীনতা কমবে। নারীর ক্ষমতায়ন হলে শিশুরা পুষ্টিহীনতায় ভুগবে না। পুষ্টিহীনতায় ভুগলে শিশুর নানা ধরনের অসুখ-বিসুখ হয়ে থাকে। পুষ্টি সপ্তাহে সবার প্রতি আহ্বান শাক-সবজি, ফলমূলসহ সুষম খাবার খেতে হবে। তেল, চিনি, লবণ কম খেতে হবে। সঠিক পুষ্টির জন্য শিশুর জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে মায়ের শালদুধ খাওয়াতে হবে। ছয় মাস পর্যন্ত বুকের দুধ এবং ছয় মাসের পর থেকে ২ বছর পর্যন্ত মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরি সুষম খাদ্য দিতে হবে। কিশোর-কিশোরীদের পুষ্টিকর খাবারে উৎসাহিত করতে হবে। গর্ভবতী ও প্রসূতিদের স্বাভাবিক খবারের পাশাপাশি বাড়তি খাবারে নজর দিতে হবে। শেষে হাসপাতালে পুষ্টিকর খাবার পরিবেশন করা হয়।