শুক্রবার, ১১ জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৭ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৫ মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

Last Updated on জুন ২৭, ২০২৫ by

ভোলাহাটে জলাবদ্ধতা দূর করতে উদ্যোগ নিলেন ইউএনও

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে জলাবদ্ধতা দূর করতে উদ্যোগ নিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার-ইউএনও মো. মনিরুজ্জামান। দখলদারিত্বের কারণে বিশাল একটি সরকারি ক্যানেল দিয়ে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে ৮ থেকে ৯ গ্রামের মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সেই ক্যানেলটি সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মনিরুজ্জামান।
শুধু তাই নয়-উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদানের পর অফিসে বসে ভোলাহাট উপজেলার সকল সমস্যা আর দূর্ভোগের চিত্র বিভিন্ন সূত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন তিনি। সমস্যাগুলোর মধ্যে অগ্রাধিকার দেন জলাবদ্ধতা নিরসনের ওপর। জানতে চান চরম জনদুর্ভোগে আছে কোন এলাকা। সেই সব এলাকায় সমস্যা সমাধানে ছুটে যান তিনি। নানা ব্যস্ততার মধ্যে চিহ্নিত এলাকা সরজমিনে স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে যোগাযোগ করে জলাবদ্ধতা দূর করতে উদ্যোগ নেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মনিরুজ্জামান।
ভোলাহাট উপজেলার ভোলাহাট ও গোহালবাড়ী ইউনিয়নের বজরাটেক খলিশাকুড়ি, ঝাউবোনা হলিদাগাছী, উপজেলা পরিষদের দক্ষিণ গেট, আম ফাউন্ডেশন, ইমামনগর বাজার, বীরশ্বরপুর, কুমিরজান, সুরানপুর তীলোকী হয়ে বিলভাতিয়া পর্যন্ত একটি বিশাল ক্যানেল রয়েছে। মাঝে মাঝে সরকারি বরাদ্দ হলেও চোখে পড়ার মত ক্যানেলের কাজ হয়নি। দখলদারিত্বের কবলে দিনদিন ক্যানেলটি ভরাট হয়ে পড়েছে। অপরিকল্পিত ভাবে সুরানপুর বাজার সংলগ্ন ক্যানেলের ওপর পানির ট্যাংক ও পাশেই প্রায় কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মাণ করা হয়েছে ব্রিজ। আবার ক্যানেলের ওপর টাইলস বসিয়ে বসার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। এসবের কারণে ক্যানেলটি পানি নিষ্কাশন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ৮ থেকে ৯ গ্রামের মানুষকে জলাবদ্ধতার সাথে লড়াই করতে হয়।
ইউএনও মো. মনিরুজ্জামান সরজমিন পরিদর্শন করে গত ২৪ জুন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে জলাবদ্ধতা দূর করতে ক্যানেলটি সংস্কারের কাজ শুরু করেন।
জনদুর্ভোগ কমাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্যানেলের কাজ শেষ করতে চান তিনি।
দূর্ভোগ কবলিত এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা মো. নাসিমুল হক জানান, ইউএনও-এর উদ্যোগে ক্যানেল সংস্কার হওয়ায় আমরা জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবো। ইউএনওকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
সমাজসেবক মো. তৌহিদুর রহমান বলেন, ইউএনওর এ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রসংসনীয়। তবে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান তিনি।
আম ফাউন্ডেশন সদস্য সচিব মো. মনসুর আলী জানান, যোগদানের অল্প কদিনের মধ্যে জলাবদ্ধতা দূর করতে ইউএনও স্যার উদ্যোগ নেওয়ায় এলাকার মানুষ খুব খুশি। ধারাবাহিক আরো উন্নয়ন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সাদিকুল ইসলাম বলেন, নতুন যোগদানের পর ইউএনও স্যার যে উদ্যোগ নিয়েছেন এর পূর্বে যদি উদ্যোগ গ্রহণ করা হতো তাহলে জলাবদ্ধতায় এতো জনদুর্ভোগ হতো না। এলাকার লোকজন খুব খুশি হয়েছে। অনেকেই স্বেচ্ছা শ্রম দিচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মনিরুজ্জামান জানান, ভোলাহাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দূর করতে আমি গুরুত্বের সাথে কাজ করবো। তিনি বলেন, পরিকল্পিতভাবে বিশাল ক্যানেলটি দখলমুক্ত করে খননের মাধ্যমে সংস্কার করা খুব কঠিন হবে। জলাবদ্ধতা দূর করতে অনেক টাকার প্রয়োজন হবে। তারপরও আমি জলাবদ্ধতা দূর করতে দায়িত্বের সাথে কাজ করে যাবো। তিনি আরো বলেন, ভোলাহাট উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। অল্প বৃষ্টিতে বজরাজেট থেকে কলেজ মোড় রাস্তা ডুবে যায় সে রাস্তার জলাবদ্ধতা দূরীকরণের জন্য কাজ করা হবে।

About The Author

শেয়ার করুন