চাঁপাইনবাবগঞ্জের মধুমতি সমাজ উন্নয়ন সংস্থা জেলার ৪৬টি শাখার মাধ্যমে ৩৫ হাজার গ্রাহকের ১০৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। শনিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রেস ক্লাবে ‘সকল ভুক্তভোগী গ্রাহক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ’র ব্যানারে নারী-পুরুষসহ অর্ধশতাধিক গ্রাহক এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহক চাঁপাইনাববগঞ্জ সদর উপজেলার দেবীনগরের নাসিমুদ্দীন। এসময় ভুক্তভোগীদের মধ্যে কথা বলেনÑ বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের তাজকেরা খাতুন, রোকেয়া বেগম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার রামকৃষ্টপুর এলাকার দেলশাদ আলী, নামোশংকরবাটি ঝাপাইপাড়ার মহাজনী বেগম, চরবাসুদেবপুরের রমেশ চন্দ্র দাস।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, স্থানীয় সমাজসেবা ও সমবায় অফিসের নিবন্ধন নিয়ে অধিক মুনাফার লোভসহ বিভিন্ন কৌশলে ৩৫ হাজার গ্রাহকের কাছ মোট ১০৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার পর ২০২২ সালের ১৭ নভেম্বর মধুমতি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ রানা অস্ত্রসহ পুলিশের হাতে আটক হয়ে কারাগারে আছেন। এ ঘটনার পর থেকে মধুমতি গ্রুপের অন্য পরিচালকরা আত্মগোপন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে অর্থ হারানো মানুষজন তাদের আমানতের টাকা আদায়ের লক্ষে প্রশাসনের কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে মধুমতি গ্রুপের আত্মগোপনে থাকা বর্তমান চেয়ারম্যান মাহমুদা খাতুনসহ অন্য পরিচালকদের সঙ্গে সেলফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।