Last Updated on এপ্রিল ৭, ২০২৪ by
ভারসাম্য রেখে সম্পর্ক বাড়াতে চায় যুক্তরাষ্ট্র ও চীন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোষাগার সচিব ইয়ানেট ইয়েলেন এবং চীনা ভাইস প্রিমিয়ার হে লাইফেংয়ের মধ্যে আলোচনার পর একটি চুক্তি হয়েছে। ইয়েলেন এক বছরে তার দ্বিতীয় সফরে চীনে গিয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন, দেশীয় এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিতে সুষম বৃদ্ধির জন্য ‘বিস্তৃত পরিসরে’ বিনিময় প্রথা চালু করতে সম্মত হয়েছে, মার্কিন কোষাগার বিভাগ গত শনিবার এই তথ্য জানিয়েছে। শুক্রবার ও গত শনিবার মার্কিন কোষাগারের সচিব (ট্রেজারি সেক্রেটারি) জ্যানেট ইয়েলেন এবং ভাইস প্রিমিয়ার হে লাইফেংয়ের মধ্যে আলোচনার পরে এ কথা জানা গিয়েছে। ইয়েলেন বলেন, বিনিময়ের ফলে সমষ্টিগতভাবে অর্থনৈতিক ভারসাম্যহীনতা নিয়ে আলোচনার সুবিধা হবে। আমি আমেরিকান কর্মী এবং সংস্থাগুলোর জন্য সমান সমান নীতির পক্ষে।
এই সমর্থনের সুযোগ আমরা ব্যবহার করতে চাই। ইয়েলেন বিশ্বের দুই প্রধান অর্থনীতির মধ্যে সম্পর্ক স্থিতিশীল করতে এক বছরে দ্বিতীয়বার চীন সফর করছেন। হুর সঙ্গে কথোপকথনের সময় চীনের অতিরিক্ত উৎপাদন ক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ইয়েলেন। যুক্তরাষ্ট্র এই অতিরিক্ত উৎপাদন ক্ষমতাকে ঝুঁকি হিসাবে দেখছে। সস্তা পণ্যের উদ্বৃত্ত হিসাবে যা অন্যত্র হওয়া উৎপাদনের জন্য হুমকি বলেই মনে করে তারা। ইয়েলেন সাংবাদিকদের বলেন, “আমার ধারণা, চীন বুঝতে পেরেছে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য তাদের শিল্প-কৌশলের প্রভাব নিয়ে আমরা কতটা উদ্বিগ্ন। কারণ এর ফলে আমেরিকান সংস্থাগুলোর জন্য প্রতিযোগিতা করাটা আরও কঠিন হয়ে যায়। এটা একদিনে বা এক মাসে সমাধান করা যাবে না, তবে আমি মনে করি বিষয়টা তারা শুনেছে। এটা গুরুতর সমস্যা।”
চীনের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া এই অতিরিক্ত উৎপাদন ক্ষমতার যুক্তিগুলোকে অস্বীকার করে। তাদের সুরক্ষাবাদী নীতির জন্য এগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ‘অজুহাত’ বলে অভিহিত করেছে। কোষাগার সচিব এরপরে বেইজিং সফরে যেতে পারেন। যেখানে প্রিমিয়ার লি কিয়াং, অর্থমন্ত্রী ল্যান ফোয়ান এবং পিপলস ব্যাংক অফ চায়না গভর্নর প্যান গংশেং সহ আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে তার। সোমবার তার সফর শেষ হওয়ার কথা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেইজিং এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা সত্ত্বেও নভেম্বরে সান ফ্রান্সিসকোতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে হওয়া বৈঠকের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নত হয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞেরা। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন দ্রুত চীন সফরে যাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, দুই পক্ষ আরও বেশি সম্পর্কের উন্নতির চেষ্টা করছে।