ভারতের দিল্লী থেকে সিঙ্গাপুরের সীমানা ঘেঁষে অবস্থিত একটি দ্বীপের আকাশ সীমানায় এক বছর আগে একটি বেলুন দেখা গিয়েছিল, যা দেখতে অনেকটাই সম্প্রতি মার্কিন আকাশে দেখা যাওয়া চীনা গুপ্তচর বেলুনের মতো। ভারত সরকারের ২০২২ সালের এক প্রতিবেদন সূত্রে বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে। বস্তুটি সম্পর্কে কারো কোনো ধারণা না থাকায় আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের শত শত লোক ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসে এবং অস্বাভাবিক উড়ন্ত বস্তুর ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়াতে আপলোড করা শুরু করে।
সোশ্যাল মিডিয়াতে আলোড়ন সৃষ্টি করা বস্তুটি নিয়ে ভারতের প্রতিরক্ষা সংস্থা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। দ্বীপগুলি ভারতের বঙ্গোপসাগরীয় এলাকার কাছাকাছি অবস্থিত যেখানে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার করা হয়। এলাকাটি চীন এবং অন্যান্য উত্তর এশিয়ার দেশগুলিতে শক্তি এবং অন্যান্য পণ্য সরবরাহের জন্য একটি প্রধান হিসেবে বিবেচিত। ভারতের প্রতিরক্ষা সংস্থার কর্মকর্তারা বলছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গুপ্তচর বেলুন দেখা যাওয়ার পর ভারতে এই অজানা বস্তুর দেখা যাওয়াও চীনের ভারতের ওপর নজরদারি হতে পারে।
ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতির দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতে কঠোর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলবে ভারত। কর্মকর্তারা আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গুপ্তচর বেলুনটি ভুপাতত করতে এইম-৯এক্স যে শক্তিশালি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছিল তার বিকল্প হিসেবে ভারত ট্রান্সপোর্টার বিমানের সাথে সংযুক্ত ফাইটার জেট বা ভারী মেশিনগান ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে বিভিন্ন দেশের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক শিথিল রাখতে ভারত সরকার বেলুনের উপস্থিতি অবহেলা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন অনেকেই।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর প্রতিনিধিরা এই বিষয়ে কোনো সাড়া দেননি। গত বছর নভেম্বরে চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের সাথে মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বিডেনের বৈঠকের পরে বিশ্বের দুটি বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে সম্পর্কে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করেছে গুপ্তচর বেলুন প্রসঙ্গ। জেহেতুও, বেইজিং বলেছে বেলুনটি একটি বেসামরিক ভাবে আবহাওয়ার তথ্য সংগ্রহ করছিল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বেলুনটি গুলি করে ভূপাতিত করার নির্দেশের জন্য নিন্দা জানিয়েছে।