শুক্রবার, ১১ জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৭ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৫ মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

Last Updated on ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৫ by

ঢাকা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ লংমার্চ কর্মসূচি
ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদ ও ফারাক্কার পানির ন্যায্য হিস্যা দাবি

ফেলানিসহ সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফ বাহিনীর গুলিতে নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা, ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদ ও ফারাক্কার পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে ঢাকা-রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত অভিমুখে লংমার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সামাজিক জেয়াফতের আয়োজন করা হয়।
রবিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সরকারি মডেল হাই স্কুল মাঠে এ উপলক্ষে জেয়াফতের আয়োজনের পাশাপাশি সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সভারও আয়োজন করা হয়।
‘বাংলাদেশ জনগনে’র ব্যানারে আয়োজিত সভায় ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এবং ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের প্রতিহত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। সেই সাথে চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন সীমান্তে ভারতের আগ্রাসী ভূমিকা এবং অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতীয় হস্তক্ষেপের চেষ্টার প্রতিবাদ জানিয়ে সভায় বক্তব্য দেয়া হয়।
এ সময় ভারত ও ফ্যাসিস্টবিরোধী বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন স্লোগানে স্লোগানে হাই স্কুল মাঠ মুখরিত করে তোলেন অংশগ্রহণকারীরা।
শেষে মডেল হাই স্কুল মাঠ থেকে কিরণগঞ্জ বর্ডার অভিমুখে একটি লংমার্চ শুরু হলে পৌর এলাকার পাইলিং মোড়ে বিজিবি ও পুলিশ তাদের আটকে দেয়। সেখানেই দুটি গরু জবাই করে ভারত ও ফ্যাসিবাদবিরোধী স্লোগান দেন তারা। ভারত এদেশে আর দাদাগিরি করতে পারবে না বলেও হুশিয়ারি দেয়া হয়।
‘বাংলাদেশের জনগণ’ সংগঠনের প্রতিনিধি ওয়ারেছুল ইসলাম নাসির বলেন, ফারাক্কার ন্যায্য পানির হিস্যা এবং ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিরোধে সীমান্তের নাগরিকদের সচেতন, সজাগ ও উদ্বুদ্ধ করতেই এই লংমার্চের আয়োজন করা হয়েছে। সীমান্তের সকল নাগরিকদের সচেতন করা হচ্ছে। আমরা পুরো দেশের নাগরিকরা সীমান্তবাসীর সাথে রয়েছি। পাশাপাশি সীমান্তে সকল ধরনের আগ্রাসন ও হত্যা বন্ধের হুশিয়ারি দেন তিনি।
‘বাংলাদেশের জনগণে’র মুখপাত্র আবু মোস্তাফিজ বলেন, ১৯৭১ সাল থেকে ভারত বাংলাদেশকে শোষণ করে এসেছে। সীমান্তে বড়ভাইয়ের মতো আচরণ করেছে। ফ্যাসিস্ট হাসিনা ভারতের সাথে জিরো লাইনে ভারতকে বেড়া নির্মাণের অনুমতি দিয়ে দেশকে ভারতের করদ রাজ্যে পরিণত করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু আর এসব মেনে নেয়া হবে না। চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষ যেভাবে বন্দুকের নলের সামনে দাঁড়িয়ে কাস্তে হাতে বিএসএফকে প্রতিহত করেছে, ঠিক একইভাবে দেশের সকল মানুষকে প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠতে হবে।
স্থানীয় কলেজ শিক্ষক আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, দেশের জন্য যারা কাজ করছে, ভারতের অন্যায়ের প্রতিবাদে যারা সোচ্চার হয়েছে তাদের উৎসাহ দিতেই তিনি এ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন।
এর আগে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এবং রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ লংমার্চে যোগ দেন এবং সবাইকে সোচ্চার হয়ে নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানান।

About The Author

শেয়ার করুন