ভাগ্যের জোরে আমি এই পেশায় : হাবিব

41

শ্রোতাপ্রিয় সংগীতশিল্পী হাবিব ওয়াহিদ। তার আরেক পরিচয় তিনি সংগীতশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদের পুত্র। হাবিব ওয়াহিদ নিজ গুণে সংগীতাঙ্গনে শক্ত জায়গা তৈরি করে নিয়েছেন। এখন সংগীত-ই তার ধ্যান-জ্ঞান। কিন্তু এই সংগীত ক্যারিয়ারে তার বাবার প্রেরণা বা অবদান কতটা? এ বিষয়ে হাবিব ওয়াহিদ বলেনÑবাবার অনুপ্রেরণা নয়, ভাগ্যের জোরে আমি এই পেশায়। একজন সংগীতশিল্পী হিসেবে বাবার অবস্থানটা তখন আমাদের দেশে বিশাল। ভাগ্যক্রমেই আমি সেই পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলাম। যে পরিবারে জন্মের পর থেকেই দেখে আসছি বিভিন্ন মিউজিশিয়ানের আনাগোনা, মিউজিক্যাল ইনস্ট্রুমেন্টের ছড়াছড়ি। আমার মনে হয়, ঐশ্বরিকভাবে আমার মিউজিকে আসা। আর বাবা যেহেতু মিউজিশিয়ান, তার প্রেরণা তো আছেই। করোনার এই সংকটকালে ঘরেই সময় কাটছে হাবিব ওয়াহিদের। ঘরে বসেই নতুন গান তৈরি করছেন তিনি। ১৯৯৯ সালে মিউজিক নিয়ে পড়াশোনার জন্য ইংল্যান্ড গিয়েছিলেন হাবিব। সেখানে পড়াশোনাকালীন হাবিব প্রকাশ করেন লোকসংগীতের রিমিক্স অ্যালবাম ‘কৃষ্ণ’। এটি ২০০৩ সালে প্রকাশিত হয়। এ অ্যালবামের কনসেপ্ট ও সুর অনেক আগেই তৈরি করেছিলেন। কিন্তু একজন গায়কের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সর্বশেষ লন্ডনে কায়াকে খুঁজে পান। এ অ্যালবামটি প্রকাশের পর দারুণ শ্রোতাপ্রিয়তা লাভ করে। এরপর প্রকাশিত হয়েÑ ‘ময়না গো’ (২০০৪), ‘শোন’ (২০০৬), ‘পাঞ্জাবীওয়ালা’ (২০০৭), ‘আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা’ (২০০৮), ‘এই তো প্রেম’ (২০০৮), ‘বলছি তোমাকে’ (২০০৮) প্রভৃতি।