Last Updated on জুলাই ৭, ২০২৪ by
ব্রাজিলকে উড়িয়ে সেমিতে উরুগুয়ে
কোপা আমেরিকার গ্রুপ পর্বে উড়ন্ত পারফরম্যান্স ছিল উরুগুয়ের। জিতেছে তিনটি ম্যাচেই। ব্রাজিল অবশ্য দুটি ড্রয়ে আসল ব্রাজিল হয়ে উঠতে পারেনি। কিন্তু পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা নির্ধারিত সময়ে উরুগুয়েকে গোল শূন্য ব্যবধানে আটকে রাখতে পারলেও টাইব্রেকার ভাগ্যে আর পেরে উঠেনি। পেনাল্টি শুটআউটে তাদের ৪-২ গোলে হারিয়ে সেমিতে নাম লিখিয়েছে উরুগুয়ে। আর ব্রাজিলকে শেষ আটেই বিদায় নিতে হচ্ছে। শেষ চারে উরুগুয়ের প্রতিপক্ষ কলম্বিয়া। শুটআউটে প্রথম শটে উরুগুয়ে গোল করলেও ভুলটা করে বসেন মিলিতাও। তার প্রথম শটই রুখে দেন রোচেট। পেরেইরা দ্বিতীয় শটে জাল কাঁপাতে পেরেছেন। কিন্তু ডগলাস লুইজের শট পোস্টে আঘাত করলে তখনই শঙ্কায় পড়ে যায় ৯বারের চ্যাম্পিয়নরা। আলিসন উরুগুয়ের চতুর্থ শট রুখে দিয়ে ব্রাজিলের সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। তাতেও লাভ হয়নি। চতুর্থ শটে মার্টিনেলি গোল পেলেও পঞ্চম শটে উরুগুয়ে গোল পাওয়ায় ৪-২ গোলের জয় নিশ্চিত হয় টুর্নামেন্টের ১৫বারের চ্যাম্পিয়নদের। নেভাদার অ্যালিজেন্ট স্টেডিয়ামে দুই দলের লড়াইয়ে উত্তেজনার পারদ ছিল শীর্ষে। মাঠের খেলার চেয়ে শরীর নির্ভর খেলাতেই দাপট দেখিয়েছে বেশি। তাতে ছিল তুমুল ঝাঁজ! ফলে গোলমুখে বুদ্ধিদীপ্ত সেই লড়াইয়ের ঝলকটা দেখা যায়নি। দুই দল মিলে ৪১টি ফাউলের ঘটনা ঘটিয়েছে। যা টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চও! ব্রাজিল বল দখলে এগিয়ে থাকলেও সবচেয়ে সুবর্ণ সুযোগটি মিস করেছেন উরুগুয়ের ডারউইন নুনেজ। ক্লোজ রেঞ্জে থেকে হেড মিস করেছেন। তাছাড়া প্রথমার্ধের শেষ দিকে সুবর্ণ সুযোগ মিস করেছে ব্রাজিলও। প্রতি আক্রমণে রাফিনহা দৌড়ে বক্সের কাছে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু উরুগুয়ের গোলকিপার কাছে এসে রুখে দেন তার শট। দুই দল সুযোগ তৈরি করতে পারলেও জাল কাঁপাতে পারেনি কোনো দল। তবে ৩২ মিনিটে বড় ধাক্কা খায় উরুগুয়ে। ইনজুরি আক্রান্ত হন দলটির সেন্টার ব্যাক রোনাল্ড আরাউহো। ভীষণ ব্যথা নিয়ে ৩৪ মিনিটে বদলি হয়ে মাঠ ছেড়ে যান তিনি। ৭৪ মিনিটে ১০ জনের দলে পরিণত হয় উরুগুয়ে। রদ্রিগোর ওপর কড়া চ্যালেঞ্জের মাশুল দিতে হয় নান্দেসকে। রেফারি শুরুতে তাকে হলুদ কার্ড দেখিয়েছিলেন। কিন্তু ভার রিভিউর পর বদলে যায় সিদ্ধান্ত। লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন তিনি। সেই সুযোগটিও ব্রাজিল কাজে লাগাতে পারেনি। তাতে স্কোর গোলশূন্য থাকায় ম্যাচ সরাসরি গড়ায় টাইব্রেকারে।