বুলডোজার দিয়ে দোকানঘর ভেঙে ফেলার অভিযোগ

36

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নামোশংকরবাটী দক্ষিণ চরাগ্রাম এলাকায় উচ্চ আদালত থেকে রায় পাওয়া জমিতে নির্মাণ করা দোকানঘর রাতের অন্ধকারে বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলার অভিযোগ করা হয়েছে। নামোশংকরবাটীর আব্দুল হান্নান নামের এক ব্যবসায়ী বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, মামলায় হেরে যাবার পর একই এলাকার ব্যবসায়ী তরিকুল ইসলাম ওরফে টি ইসলাম তার লোকজন দিয়ে গত মঙ্গলবার গভীর রাতে তার নির্মাণ করা দুটি দোকান ঘর ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল হান্নানের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার বড়ভাই চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল হান্নান বলেন, “দক্ষিণ চরাগ্রাম এলাকার আমাদের নিজস্ব জমির পাশে কেনা জমি নিয়ে জনৈক এসরাইল হকের সঙ্গে মামলা চলছিল। মামলা চলাবস্থায় ব্যবসায়ী তরিকুল ইসলাম ওরফে টি ইসলাম ওই মাটিটি ক্রয় করেন। প্রেক্ষিতে তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর সহকারী জজ আদালতে মামলা করলে আদালত আমার পক্ষে রায় দেন। পরে তরিকুল ইসলাম চাঁপাইনবাবগঞ্জ জজ আদালতে আপিল করলে আদালত নি¤œ আদালতের রায় বাতিল করেন। প্রেক্ষিতে আমি উচ্চ আদালতে আপিল করে জয় লাভ করি।”
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, এরপর তরিকুল ইসলাম সুপ্রিম কোর্টে আপিল করলে সুপ্রিম কোর্ট আব্দুল হান্নানের পক্ষে রায় দেন এবং গত ১২ জুন আদালত তাকে জমির দখল বুঝিয়ে দেন। এখনো দখল প্রদানের জায়গায় লাল পতাকা টানানো আছে বলে তিনি জানান।
তিনি অভিযোগ করেন, বুলডোজার নিয়ে দোকানঘর দুটি ভাঙার নেতৃত্বে ছিল তরিকুল ইসলামের ছেলে, যা সিসি ক্যামেরার ফুটেজে আছে। এ ঘটনায় তারা আবারো আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
এ ব্যাপারে তরিকুল ইসলাম ওরফে টি ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর আমরা রিভিউ আপিল করেছি। যা বিচারাধীন রয়েছে।” তিনি বলেন, “আমি এবার পবিত্র হজে গিয়েছিলাম, এই সুযোগে তারা (সাইদুর-হান্নানরা) ঘর তুলেছেন।” তিনি আরো বলেন- “আমার ছেলের নেতৃত্বে ঘর ভেঙে ফেলার প্রশ্নই আসে না। আমার ছেলে রাত ১০টার পর বাড়ি থেকে বেরই হয় না। তারা নিজেরাই মার্কেট ভেঙেছেন এবং ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য আমার ওপর অভিযোগ আনছেন, যা সম্পূর্ণ বিথ্যা।”
টি ইসলাম পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, “আমার মার্কেটের ভেতর চাল, ক্ষুদ ও চালের কুড়া ছিল; তারা (সাইদুর-হান্নানরা) সেই মার্কেট ভেঙে সেইসব নিয়ে গেছে। তার ভিডিও আমার কাছে আছে এবং এ ব্যাপারে আমরা কোর্টে একটি মামলা করেছি।”