Last Updated on মে ৩১, ২০২৪ by
বিশ্বকাপে লক্ষ্য ট্রফি জয় : রাশিদ
চার ম্যাচেই দুটিই ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। বাকি দুটি থেকে বিশশ্বকাপ প্রস্তুতির যতটুকু সম্ভব, সবটুকুই সেরে নিল ইংল্যান্ড। বিশেষ করে, শেষ ম্যাচে ব্যাটে-বলে-ফিল্ডিংয়ে একরকম পরিপূর্ণ পারফরম্যান্সই মেলে ধরল বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। এই ম্যাচে পাকিস্তানতে গুঁড়িয়ে সিরিজ জয়ের পর ম্যাচের সেরা আদিল রাশিদ বললেন, তারা চোখ রাখছেন আরও একটি ট্রফিতে। চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষটিতে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে বিধ্বস্ত সিরিজ জিতে নেয় ইংল্যান্ড। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ইংলিশরা জিতেছিল ২৩ রানে। প্রথম ও তৃতীয় ম্যাচে টসই হতে পারেনি বৃষ্টিতে। ওভালে বৃহস্পতিবার বোলাদের সম্মিলিত পারফরম্যান্সে, বিশেষ করে স্পিনারদের দারুণ বোলিংয়ে পাকিস্তানকে ১৫৭ রানে আটকে রাখে ইংল্যান্ড। রান তাড়ায় আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে তারা ম্যাচ শেষ করে দেয় ২৭ বল বাকি রেখে। চার ওভারে কেবল ২৭ রান দিয়ে দুই উইকেট নিয়ে ম্যান অব দা ম্যাচ হন আদিল রাশিদ। অভিজ্ঞ লেগ স্পিনার পরে বললেন, “বিশ্বকাপে আমাদের লক্ষ্য হলো, আশা করি আরেকটি ট্রফি জিততে পারব।
মানসিকতা ঠিকঠাক থাকতে হবে। বাকিটা এমনিই হয়ে যাবে।” টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তান শুরুটা ভালোই করেছিল। মেঘলা আকাশের নিচে ইংলিশ পেসারদের চ্যালেঞ্জ সামলে পাওয়ার প্লেতে ৫৯ রান তোলেন বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। চলতি বছরে এই প্রথম একসঙ্গে ইনিংস শুরু করলেন দুজন। ২২ বলে ৩৬ রান করা বাবরকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন জফ্রা আর্চার। পরের ওভারে দারুণ ডেলিভারিরাশিদ বোল্ড করে দেন ১৬ বলে ২৩ রান করা রিজওয়ানকে। পাকিস্তানের বিপদ তখনও অতটা বোঝা যায়নি। তিনে নামা উসমান খানের ব্যাটে রান আসতে থাকে। কিন্তু স্পিনের সামনে ভেঙে পড়ে তাদের মিডল অর্ডার। ৯ রানে ফাখার জামানকে থামান মইন আলি। শাদাব খান ও আজম খান তো রানই করতে পারেনি। ২১ বলে ৩৮ রান করা উসমানকে ফিরিয়ে পাকিস্তানকে আরও ধাক্কা দেন লিয়াম লিভিংস্টোন। এরপর ইফতিখার আহমেদ (১৮ বলে ২১) ও শাহিন শাহ আফ্রিদি (১৮ বলে ১৬) কিছুটা লড়াই করে দেড়শ পার করান দলকে। এই পুঁজি নিয়ে লড়াই জমাতেও পারেনি পাকিস্তানি বোলাররা। উদ্বোধনী জুটিতেই ফয়সালা একরকম করে ফেলেন জস বাটলার ও ফিল সল্ট। পাওয়ার প্লেতে দুজন তোলেন ৭৮ রান। দুজনের কেউ অবশ্য ফিফটি করতে পারেনি। ২৪ বলে ৪৫ করে সল্ট আউট হন আগে। বাটলারের ব্যাট থেকে আসে ২১ বলে ৩৯। এই দুজনের পর তিনে নামা উইল জ্যাকসকেও (১৮ বলে ২০) আউট করেন হারিস রউফ। তবে ইংল্যান্ডের জিততে বেগ পেতে হয়নি। তিন ছক্কায় ১৬ বলে ২৮ রানে অপরাজিত থাকেন জনি বোয়ারেস্টা। ব্যাটিংয়ে ৫ বলে শূন্য রানে আউট হওয়া আজম খান পরে কিপিংয়ে ছেড়ে দেন দুটি সহজ ক্যাচ। দুই ম্যাচে ৮৪ ও ৩৯ রান করে সিরিজের সেরা ইংলিশ অধিনায়ক বাটলার। দুই দলই এখন ছুটবে বিশ্বকাপ অভিযানে। ‘বি’ গ্রুপে ইংল্যান্ডের প্রথম প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড, ‘এ’ গ্রুপে পাকিস্তান শুরু করবে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ১৯.৫ ওভারে ১৫৭ (রিজওয়ান ২৩, বাবর ৩৬, উসমান ৩৮, ফাখার ৯, শাদাব ০, আজম ০, ইফতিখার ২১, আফ্রিদি ০, নাসিম ১৬, আমির ০*, রউফ ৮; উড ৪-০-৩৫-২, আর্চার ৩.৫-০-৩১-১, জর্ডান ৩-০-২৪-১, মইন ২-০-২৩-১, রাশিদ ৪-০-২৭-২, লিভিংস্টোন ৩-১-১৭-২)।
ইংল্যান্ড: ১৫.৩ ওভারে ১৫৮/৩ (সল্ট ৪৫, বাটলার ৩৯, জ্যাকস ২০, বেয়ারস্টো ২৭*, ব্রুক ১৭*; আফ্রিদি ৩-০-২০-০, নাসিম ৪-০-৫১-০, আমির ২-০-২৭-০, রউফ ৩.৩-০-৩৮-৩, শাদাব ৩-০-২০-০)।
ফল: ইংল্যান্ড ৭ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: চার ম্যাচ সিরিজে ইংল্যান্ড ২-০তে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: রাশিদ খান।
ম্যান অব দা সিরিজ: জস বাটলার।