Last Updated on আগস্ট ১৪, ২০২৪ by
বিশ্বকাপের প্রাইজমানি আগামী সপ্তাহেই পাওয়ার আশা বিসিবির
গত বছরের নভেম্বরে শেষ হয়েছিল ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ওই আসরে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। সাকিব আল হাসানের দল মাত্র দুটি ম্যাচ জিতেছিল। টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার ৯ মাস পার হয়ে গেলেও আইসিসির ঘোষিত প্রাইজমানি এখনও বুঝে পায়নি ক্রিকেটাররা। এমনটাই দাবি ছিল ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পালের। যদিও কোয়াবের এই বক্তব্যকে ভিত্তিহীন বলে আখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আইসিসির ঘোষণা অনুযায়ী, ২০২৩ বিশ্বকাপের মূল পর্বে অংশগ্রহণের জন্য ১ লাখ ডলার প্রাইজমানি পাওয়ার কথা টাইগারদের। দুই ম্যাচ জেতায় মিলবে আরও ৮০ হাজার ডলার। সেই অর্থ এখনও ক্রিকেটারদের হাতে পৌঁছায়নি বলে জানিয়েছিলেন দেবব্রত, ‘আপনারা কি জানেন ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ হয়েছিল ভারতে, ওই টাকাটা ক্রিকেটাররা এখনও বিসিবির কাছ থেকে পায়নি? আমি যতদূর জানি এই টাকা দেওয়ার একটা চুক্তি থাকে, সম্ভবত ১৫ দিনের মধ্যেই এই টাকা দিয়ে দিতে হয়। আম্পায়ার্স কমিটিসহ ক্রিকেট বোর্ডের যে ব্যবস্থাপনা ও পেশাদারিত্ব ছিল…. ক্রিকেটে ভদ্রলোকের খেলা। কিন্তু কোনো প্রকার ভদ্র আচরণ এখানে ছিল না।’ কোয়াবের এই বক্তব্যের পর বিসিবি এক বিবৃতিতে জানায়, ‘একজন বিসিবি কাউন্সিলর বিসিবির বিরুদ্ধে ২০২৩ বিশ্বকাপের প্রাইজমানি প্রদান না করার যে অভিযোগ উত্থাপন করেছেন তা অসত্য। বিসিবি এই মর্মে নিজেদের অবস্থান ব্যক্ত করতে চায় যে অনিচ্ছাকৃত বিলম্বের জন্য বিসিবি কোনোভাবেই দায়ী নয়। সাধারণ কোন আয়োজন শেষের মাসখানেকের মধ্যেই টাকাটা পাওয়া যায়। ২০২৩ বিশ্বকাপ নভেম্বরে শেষ হওয়ার পর বিসিবি দ্রুততার সঙ্গেই সব রকম রশিদ আইসিসিকে প্রদান করেছে। কর সংক্রান্ত জটিলতা এবং কমপ্লায়েন্স ইস্যুর কারণে দেরি হচ্ছিল। বিসিবি সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরের করা অসত্য মন্তব্যকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে এবং এই বিষয়ে বোর্ড ও এর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অসত্য আচরণের তীব্র প্রতিবাদ জানায়। এ ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং বিসিবির কার্যক্রমের সততা ও স্বচ্ছতা নষ্ট করে।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এ ধরণের প্রশাসনিক বিঘœ অংশগ্রহণকারী সব দেশের অর্থ প্রাপ্তিকেই বিলম্বিত করেছে। প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে বিসিবির পক্ষ থেকে ডেলয়েট হাস্কিন অ্যান্ড সেলস এলএলপিকে নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি। আমরা জানতে পেরেছি সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতাই সম্পন্ন হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহেই আমাদের পাওনা অর্থ ব্যাঙ্ক হিসাবে জমা হবে।’