বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা

52

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের উন্মুক্ত পরিবেশে বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার দাইপুকুরিয়া, সদর উপজেলার ঝিলিম ও নাচোল উপজেলার নাচোল ইউনিয়ন পরিষদের ২০২২-২৩ অর্থবছরের এই বাজেট ঘোষণা করা হয়।
রবিবার বিকালে দাইপুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেনÑ চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল। বিশেষ অতিথি ছিলেনÑ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম, জামবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সাহাব উদ্দিন, দাইপুখুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম আজমুল হক বাদশা ও সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর লালন, দাইপুকুরিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ইসরাফিল হকসহ ইউপি সদস্যগণ।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর রেজা এবং সঞ্চালনা করেন ইউনিয়ন পরিষদ সচিব আব্দুল লতিফ।
এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়ন পরিষদের ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। রবিবার সকালে ঝিলিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম লুৎফুল হাসানের সভাপতিত্বে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে আয়োজিত বাজেট সভায় বাজেট ঘোষণা করেন পরিষদের সচিব মৃনাল কান্তি পাল।
বাজেট অনুষ্ঠানে স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এবারের বাজেটে রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ২১ লাখ ৭ হাজার ৩০০ টাকা ও ব্যয় ধরা হয়েছে ২১ লাখ টাকা। উন্নয়ন বাজেটে আয় ধরা হয়েছে ২ কোটি ৬১ লাখ ২ হাজার ৬৬০ টাকা ও ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি ৬১ লাখ ১ হাজার ৬৬০ টাকা।
উন্মুক্ত বাজেট অনুষ্ঠানে ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের নাগরিকরা তাদের বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।
অন্যদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল ইউনিয়ন পরিষদের ২০২২-২৩ অর্থবছরের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। রবিবার সকালে অনুষ্ঠিত বাজেট সভায় সভাপতিত্ব করেন নাচোল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. সফিকুল ইসলাম। বাজেট উপস্থাপন করেন নাচোল ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আব্দুল খালেক।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেনÑ নাচোল মহিলা কলেজের প্রভাষক দুরুল হোদা, এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং বিভিন্ন ওয়ার্ড সদস্যসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
ইউনিয়ন পরিষদ সচিব আব্দুল খালেক জানান, ২০২২-২৩ অর্থবছরে নাচোল ইউনিয়নে রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ২২ লাখ ৩০ হাজার এবং ব্যয় ধরা হয়েছে ২১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। উদ্বৃত্ত ৫০ হাজার টাকা। এছাড়াও উন্নয়ন খাতে আয় ধরা হয়েছে ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা এবং ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ কোটি ৩ লাখ টাকা। উদ্বৃত্ত ৫ লাখ টাকা।