Last Updated on এপ্রিল ২, ২০২৪ by
বিনা’র আয়োজনে কৃষক প্রশিক্ষণ
বিনা ধান-১৯ ও ২১ চাষাবাদের ওপর গুরুত্বারোপ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উদ্ভাবিত স্বল্পজীবনকালীন উচ্চ ফলনশীল আউশ ধানের চাষাবাদ সম্প্রসারণের লক্ষে কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের আয়োজনে ও বিনা’র গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের অর্থায়নে বিনা উপকেন্দ্রে আয়োজিত প্রশিক্ষণে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অথিতি হিসেবে যুক্ত ছিলেন- বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম। বিনা উপকেন্দ্র, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. আহমেদ নুমেরী আশফাকুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত হন- বিনার পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. ইকরাম-উল-হক, বিনা’র গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের পরিচালক ড. মো. শহীদুল ইসলাম।
সরাসরি উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন- কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপপরিচালক ড. পলাশ সরকার। বিনা উপকেন্দ্র, চাঁপাইনবাবগঞ্জের পরীক্ষণ কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল ইসলামের উপস্থাপনায় প্রশিক্ষণে বিনা উপকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. জুবায়ের আল ইসলাম প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন।
কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দেশের শস্য উৎপাদন বৃদ্বি করার লক্ষে বিনা উদ্ভাবিত স্বল্পজীবনকালীন আউশ ফসলের বিকল্প নেই। বিনা উদ্ভাবিত বিনা ধান-১৯ এবং বিনা ধান-২১ স্বল্পমেয়াদি ও উচ্চ ফলনশীল হওয়ায় এই এলাকায় কৃষকের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। বক্তারা আরো বলেন, শস্য নিবিড়তা বৃদ্ধি করার লক্ষে অর্থাৎ বছরে জমিতে একাধিক ফসল চাষাবাদ করার জন্য এবং দেশের শস্য উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে এ ধরনের প্রশিক্ষণ ফলপ্রসূ হবে।
পানির প্রাপ্যতার কথা মাথায় রেখে স্বল্প সেচের ফসল উৎপাদনের পরামর্শ দেন বক্তারা। তারা মাটি তৈরি, সার ও কীটনাশকের সঠিক ব্যবহারের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।