Last Updated on জুলাই ১৪, ২০২৪ by
বিধ্বংসী জুটিতে ভারতের সিরিজ জয়
ব্লেসিং মুজারাবানিকে পুল করে ডিপ মিডউইকেট দিয়ে চার মেরে ম্যাচের ইতি টেনে দিলেন ইয়াশাসভি জয়সওয়াল। যেন হাঁপ ছেড়ে বাঁচল জিম্বাবুয়ে! অল্প পুঁজি নিয়ে ভারতের দুই ওপেনারের সামনে বল ফেলার জায়গাই যে খুঁজে পাচ্ছিলেন না জিম্বাবুয়ের বোলাররা। বড় জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নিল ভারত। চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের জয় ১০ উইকেটে। হারারেতে শনিবার ১৫৩ রানের লক্ষ্য ২৮ বল বাকি থাকতে ছুঁয়ে ফেলে সফরকারীরা। এই সংস্করণে দ্বিতীয়বারের মতো ১০ উইকেটের জয় পেল ভারত। প্রথমটিও ছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, ২০১৬ সালে এই হারারেতেই। অল্পের জন্য সেঞ্চুরি হয়নি জয়সওয়ালের। ৫৩ বলে ১৩ চার ও ২ ছক্কায় ৯৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। টানা দ্বিতীয় ফিফটিতে ৩৯ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৫৮ রান করেন অধিনায়ক শুবমান গিল। ৯২ বলে ১৫৬ রানের জুটিতে অবিচ্ছিন্ন থাকেন এই দুজন। এই সংস্করণে রান তাড়ায় যেকোনো উইকেটে এর চেয়ে বড় জুটি ভারতের আছে আর একটি। ওই জুটির অংশও ছিলেন জয়সওয়াল ও গিল, গত বছর ফ্লোরিডায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে উদ্বোধনী জুটিতেই ১৬৫ রান যোগ করেন দুজন। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ওয়েসলি মাধেভেরে ও টাডিওয়ানাশে মারুমানির ব্যাটে শুরুটা ভালো করে জিম্বাবুয়ে। পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৬১ রান তুলে ফেলে তারা। যদিও তৃতীয় ওভারে মারুমানির ক্যাচ ফেলেন শিভাম দুবে। নবম ওভারে মারুমানিকে ফিরিয়েই ৬৩ রানের শুরুর জুটি ভাঙেন আভিশেক শার্মা। বিস্ফোরক এই ব্যাটসম্যান বল হাতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম উইকেটের স্বাদ পেলেন। ৪ রানে জীবন পাওয়া মারুমানির ব্যাট থেকে আসে ৩১ বলে ৩২। পরের ওভারে ফিরে যান মাধেভেরেও (২৪ বলে ২৫)। ব্রায়ান বেনেট ও জোনাথান ক্যাম্পবেল দুই অঙ্কে যেতে পারেননি। মাঝে তাই রানও বাড়েনি। অধিনায়ক সিকান্দার রাজার ৩ ছক্কা ও ২ চারে ২৮ বলে ৪৬ রানের ইনিংসের সুবাদে কোনোমতে দেড়শ ছাড়তে পারে স্বাগতিকরা। শেষ ওভারে ¯্রফে ৫ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন পেসার খালিল আহমেদ। ভারতের সফলতম বোলার তিনিই। লক্ষ্য তাড়ায় প্রথম ওভারে রিচার্ড এনগারাভাকে টানা তিনটি চার মেরে ডানা মেলে দেন জয়সওয়াল। তৃতীয় ওভারে তিনি চারটি চার মারেন টেন্ডাই চাটারাকে। পাওয়ার প্লেতে ভারত তোলে ৬১ রান, যার ৪৭ রানই জয়সওয়ালের। গিলের রান তখন কেবল ১৩। জয়সওয়াল ফিফটি পূর্ণ করেন ২৯ বলে। তার সঙ্গে পরে রান উৎসবে যোগ দেন গিলও। ফিফটি করেন তিনি ৩৫ বলে। পরের বলে তিনি ছক্কা মারেন বেনেটকে। ওই ওভারে ছক্কা আসে জয়সওয়ালের ব্যাট থেকেও। পরের ওভারেই ম্যাচের সমাপ্তি। বিশ্বকাপ জয়ের পর অনেকটা দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে এই সফরে প্রথম ম্যাচে অভাবনীয় হারের অভিজ্ঞতা হয় ভারতের। সেই ধাক্কা সামলে টানা তিন জয়ে সিরিজ নিজেদের করে নিল তারা। রোববার হবে শেষ ম্যাচ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে: ২০ ওভারে ১৫২/৭ (মাধেভেরে ২৫, মারুমানি ৩২, বেনেট ৯, রাজা ৪৬, ক্যাম্পবেল ৩, মায়ার্স ১২, মাডান্ডে ৭, ফারাজ ৪*; খালিল ৪-০-৩২-২, তুষার ৩-০-৩০-১, বিষ্ণই ৪-০-২২-০, ওয়াশিংটন ৪-০-৩২-১, আভিশেক ৩-০-২০-১, দুবে ২-০-১১-১)
ভারত: ১৫.২ ওভারে ১৫৬/০ (জয়সওয়াল ৯৩*, গিল ৫৮*; এনগারাভা ৩-০-২৭-০, মুজারাবানি ৩.২-০-২৫-০, চাটারা ২-০-১৬-৩, মুজারাবানি ৪-০-১৭-১, জঙ্গুয়ে ৪-০-২৮-১, রাজা ৪-০-২৫-৩)
ফল: ভারত ১০ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: ৫ ম্যাচ সিরিজে ৩-১-এ এগিয়ে ভারত
ম্যান অব দা ম্যাচ: ইয়াশাসভি জয়সওয়াল