বিদায় ২০১৬, স্বাগত ২০১৭

84

gourbangla logoআজ ১ জানুয়ারি, রোববার, ২০১৭ সালের প্রথম দিন। সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা। পুরনো বছরের অর্জনগুলোকে সাথে নিয়ে আর ব্যর্থতা-গ্লানিকে মুছে ফেলে উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নববর্ষের প্রথম দিনটি উদযাপিত হবে। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, দেশ তথা সমগ্র বিশ্বের সুখ ও উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করা হবে এই দিনটিতে। নববর্ষ উপলক্ষে দেশবাসীসহ সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনো। খ্রিস্টীয় নববর্ষ ২০১৭ সবার জীবনে আনন্দ ও কল্যাণ বয়ে আনুক- এই কামনা করে গতকাল শনিবার দেয়া এক বাণীতে তিনি আরো বলেন, আমাদের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে নতুন প্রত্যাশা নিয়ে আসে খ্রিস্টীয় নববর্ষ। অতীত অর্জন ও সাফল্যকে ভিত্তি করে উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবÑ এ হোক নতুন বছরে সকলের অঙ্গীকার। রাষ্ট্রপতি বাণীতে বলেন, বছর ঘুরে খ্রিস্টীয় নববর্ষ আমাদের মাঝে সমাগত। বাংলা নববর্ষ আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকলেও ব্যবহারিক জীবনে ইংরেজি বর্ষপঞ্জিকা বহুল ব্যবহৃত। কালের বিবর্তনে খ্রিস্টীয় নববর্ষ উদ্যাপন আমাদের জাতীয় সংস্কৃতির সাথে গভীরভাবে সম্পৃক্ত। বিগত বছরের সুঃখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা ভাগাভাগি করে নতুন সম্ভাবনার পথে বাংলাদেশ এগিয়ে যাকÑ খ্রিস্টীয় নববর্ষে এ প্রত্যাশা জানিয়ে বাণীতে তিনি বলেন, এদিন দেশব্যাপী নানা আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে নতুন বছরকে বরণ করা হয়। সকলের মাঝে জাগে প্রাণের নতুন স্পন্দন। এই বিশেষ দিনটিকে উপলক্ষ করে বিভিন্ন ক্ষুদে বার্তা ও সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে শুভেচ্ছা বিনিময় করা হয়েছে। বিভিন্ন কর্পোরেট, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা ও সংগঠনও প্রতি বছর নিকটজনদের কাছে শুভেচ্ছা বার্তা প্রদান করে থাকে। এই দিনটিতে বিদায়ী বছরের সাফল্য ও ব্যর্থতা ফিরে দেখা হয় এবং নতুন বছরে কিভাবে লক্ষ্য অর্জন করা যায়, সেজন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। বছরের অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করার জন্যও কর্মপরিকল্পনা নেয়া হয়। ২০১৬ সাল বাংলাদেশের জন্য ছিল একটি লক্ষ্যণীয় সাফল্যের বছর।