বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলন শুরু

40

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি ও ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স-বিএসএফ এর মধ্যে মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন শুরু হয়েছে। সোমবার ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লীতে শুরু হওয়া এ সম্মেলন আগামি ৭ অক্টোবর শেষ হবে বলে বিজিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, ভারতের নয়াদিল্লীতে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে যোগ দিতে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেনের নেতৃত্বে ২৪ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ভারতে গেছে। প্রতিনিধি দলে অন্যান্যের মধ্যে বিজিবির সরাইল, যশোর, রংপুর ও চট্টগ্রাম রিজিয়নের সব বিজিয়নাল কমান্ডার, বিজিবি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, যৌথ নদী কমিশন, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ জরিপ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা রয়েছেন। অপরদিকে বিএসএফ মহাপরিচালক শ্রী কে কে শর্মার নেতৃত্বে ২৬ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশ নেবে। বিএসএফ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সব ফ্রন্টিয়ারের আইজি, ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জাতীয় তদন্ত সংস্থা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, সার্ভে অব ইন্ডিয়া এবং যৌথ নদী কমিশনের কর্মকর্তারা ভারতীয় প্রতিনিধি দলে রয়েছেন। এবার সীমান্ত সম্মেলন উপলক্ষে উভয় দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্ক আরও সুসংহত করতে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বিজিবি পরিচালিত সীমান্ত পরিবার কল্যাণ সমিতির (সীপকস) একটি প্রতিনিধি দলও ভারত গেছেন। সীপকসর সভানেত্রী রওশন আরা হোসেনের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের এই প্রতিনিধিদল বিএসএফ পরিচালিত বিএসএফ ওয়াইভস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা এবং অ্যাসোসিয়েশনের বিভিন্ন কর্মকা- পরিদর্শন করবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এতে বলা হয়, ৩ অক্টোবর ভারতীয় সময় সকাল ৯টায় নয়াদিল্লীর বিএসএফ সদর দপ্তরে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক বৈঠক শুরু হবে। একইদিন বিজিবি মহাপরিচালক ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এবারের সম্মেলনে সীমান্ত এলাকায় নিরস্ত্র বাংলাদেশিদের গুলি, হত্যা ও আহত করা, নিরীহ বাংলাদেশি নাগরিকদের গ্রেফতার বা আটক করা, সীমান্ত লঙ্ঘন বা অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ, আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক দ্রব্য ছাড়াও ফেনসিডিল, মদ, গাঁজা, ইয়াবা, ভায়াগ্রা-সেনেগ্রা ইত্যাদির চোরাচালানসহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা হবে। এছাড়া বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতীয় মোবাইল নেটওয়ার্ক কভারেজ, উভয় দেশের সীমান্ত নদীসমূহের তীর সংরক্ষণসহ পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম সম্মেলনের আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে রয়েছে। আগামী ৬ অক্টোবর সম্মেলনের যৌথ আলোচনার দলিল (জয়েন্ট রেকর্ড অব ডিসকাশন্স-জেআরডি) স্বাক্ষরিত হবে। সম্মেলন উপলক্ষে ৫ অক্টোবর নয়াদিল্লীতে বিজিবি-বিএসএফ প্রীতি হ্যান্ডবল টুর্নামেন্ট হওয়ারও কথা রয়েছে।