বাস্তবতা বুঝতে পারছেন অ্যারন ফিঞ্চ

16

আগামী তিন বছরে বসবে সীমিত ওভার ক্রিকেটের তিনটি বিশ্বকাপ। আবার টেস্ট দলের দরজায় কড়া নাড়ছে বেশ কয়েকজন তরুণ প্রতিভাবান ক্রিকেটার। সব মিলে বাস্তবতা খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারছেন অ্যারন ফিঞ্চ। প্রেক্ষাপট বিবেচনায় অস্ট্রেলিয়ার হয়ে আবার টেস্ট খেলার তেমন সম্ভাবনা দেখছেন না দেশটির ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। লম্বা সময় ধরে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার নির্ভরযোগ্য ওপেনার ফিঞ্চ এখন পর্যন্ত টেস্ট খেলেছেন কেবল পাঁচটি। সবগুলিই ২০১৮ সালের শেষ তিন মাসে, যখন বল টেম্পারিং কা-ে নিষিদ্ধ ছিলেন আরেক ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। লাল বলে অভিষেকটা অবশ্য ভালোই হয়েছিল। দুবাইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ইনিংসে করেছিলেন ৬২ ও ৪৯ রান। পরের টেস্টে ৩৯ ও ৩১। তবে নিজের পরের তিন টেস্টে ভারতের বিপক্ষে দেশের মাটিতে ব্যাটিং গড় ছিল কেবল ১৬.১৬। বাদ পড়েন সিরিজের শেষ টেস্টে। এরপর আর সুযোগ পাননি পাঁচ দিনের ক্রিকেটে। এই সময়ে প্রথম শ্রেণির ম্যাচই খেলেছেন কেবল পাঁচটি। সীমিত ওভারের সিরিজ খেলতে এখন ইংল্যান্ড সফরে থাকা ৩৩ বছর বয়সী ফিঞ্চ বুধবার বলেন, তিনি ধরে নিয়েছেন তার টেস্ট ক্যারিয়ার একরকম শেষ। “লাল বলের ক্রিকেটের কথা বললে, আমি মনে করি না আবার টেস্ট ক্রিকেট খেলা বাস্তবসম্মত।” “কেবল দুটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করছে; চার দিনের ম্যাচ খেলার সুযোগ পাওয়া এবং সেখানে জোরালো দাবি জানানো। আর এর সুযোগ খুব কম বলেই আমি মনে করি।”

সবশেষ শেফিল্ড শিল্ডে একাধিক সেঞ্চুরি করেছেন ২২ বছর বয়সী উইল পাকোভস্কি, ২১ বছর বয়সী ক্যামেরন গ্রিন ও ২২ বছর বয়সী ব্রাইস স্ট্রিটের মতো তরুণ ব্যাটসম্যান। এদের সঙ্গে ফিঞ্চ তুলে ধরলেন প্রতিভাবান ব্যাটসম্যানদের কথাও। “একই সঙ্গে তরুণ ব্যাটসম্যানরা উঠে আসছে, অস্ট্রেলিয়ায় বেশ কিছু ভালো খেলোয়াড় আছে, বিশেষ করে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। এই মুহূর্তে প্রতিভার গভীরতা দারুণ। তাই আমি মনে করি না আমার কোনো সুযোগ আছে।” কিছুদিন আগে ফিঞ্চ জানান, ভারতে ২০২৩ বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে চান তিনি।