বাবুডাইং আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতাকে স্মরণ

67

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বাবুডাইং আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আশেকুর রহমানের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এউপলক্ষে বাবুডাইং আলোর পাঠশালা প্রাঙ্গণে শুক্রবার দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে বাবুডাইং আলোর পাঠশালা ও গ্রামবাসী।
বেলা ১১টায় সভার শুরুতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আশেকুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে। এরপর এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা ও অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কানাই চন্দ্র দাস, আশেকুর রহমানের মেয়ে আফসানা রহমান, জামাতা শাহাদাত হোসাইন শিকদার, অধ্যাপক তরিকুল ইসলাম, স্মৃতি পরিষদের সদস্য সচিব শফিকুল আলম, গ্রাম্য মোড়ল কার্তিক কোল টুডু, সুরেন কোল টুডু। এসময় আরো বক্তব্য দেন বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসা নেদারল্যান্ডের নাগরিক স্কুল শিক্ষক ম্যাগরেট জনসেন। সূচনা বক্তব্য দেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আনোয়ার হোসেন দিলু। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামান নূর। এতে অংশ নেয় শিক্ষক-শিক্ষার্থী, গ্রামবাসী ও অতিথিরা।
বক্তারা বলেন, ১৬ বছর আগে বরেন্দ্র অঞ্চলের গহিনে অবস্থিত বাবুডাইং গ্রামের শিশুদের শিক্ষার বঞ্চনা নিয়ে প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে আশেকুর রহমান এ গ্রাম পরিদর্শন করেন এবং বাবুডাইং আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে প্রথম আলো ট্রাস্ট বিদ্যালয়টি পরিচালনার দায়িত্ব নেয় এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত সম্প্রসারণ করে। পরে নাম হয় বাবুডাইং আলোর পাঠশালা।
শেষে ছিল বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক আয়োজন।
আশেকুর রহমানের পরিবারের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের ক্রীড়া সামগ্রী ও সাংস্কৃতিক দলের জন্য আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়। এছাড়াও বিদ্যালয়ের জন্য একটি আইসিটি শ্রেণিকক্ষ নির্মাণের জন্য পাঁচ লাখ টাকা অনুদান দেন তাঁরা। অন্যদিকে বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসা নেদার‌্যান্ডের দুই স্কুল শিক্ষক হ্যারি ও ম্যাগরেট জনসেনও শিক্ষার্থীদের বই কেনার জন্য আর্থিক সহায়তা দেন।