বাবুডাইং আদিবাসী আলোর পাঠশালার প্রতিষ্ঠাতা আশেকুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) বিদ্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বাবুডাইং গ্রামে অবস্থিত বিদ্যালয়টি শুরুতে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও প্রথম আলো ট্রাস্টের পরিচালনায় সেটিতে এখন মাধ্যমিক শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করা হচ্ছে। বর্তমান নাম বাবুডাইং আদিবাসী আলোর পাঠশালা। বিদ্যালয় থেকে পাস করা এসএসসি পরীক্ষার্থীরা এখন কলেজে পড়াশোনা করে। অনুষ্ঠানের শুরুতে সকাল ১০টায় এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়। এরপর শিক্ষার্থীরা সঙ্গে নিয়ে আসা নানা ধরণের ফুল দিয়ে একে একে আশেকুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায়। এরপর প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামানের নূরের সভাপতিত্বে সভায় সূচনা বক্তব্য দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আনোয়ার হোসেন। অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য দেন, বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক কানাই চন্দ্র দাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সুজারুদ্দিন, গ্রাম্য মোড়ল সুরেন কোল টুডু, কার্তিক কোল টুডু, চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রথম আলো বন্ধুসভার উপদেষ্টা জহিরুল ইসলাম, প্রাক্তন শিক্ষার্থী জয়ন্ত কোল সরেন প্রমূখ। সঞ্চালনা করেন সহকারী শিক্ষক সাঈদ মাহমুদ। ইসলাম, সনাতন ও খ্রিষ্টান ধর্মে প্রার্থনা পরিচালনা করেন হেলাল উদ্দিন, কানাই চন্দ্র দাস ও রাজেন সরেন। বক্তারা বলেন, বরেন্দ্রভূমির গহিনে অবস্থিত রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বাবুডাইং গ্রামটি ছিল সবদিক থেকে পিছিয়ে। এটি ছিল সুবিধাবঞ্চিত একটি গ্রাম। বিদ্যালয় শব্দটির সঙ্গেও পরিচিতি ছিল না গ্রামের শিশুদের। শিশুদের শিক্ষা বঞ্চনার প্রতিবেদন প্রথম আলোয় দেখে তিনি এ গ্রামে আসেন এবং বাবুডাইং আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে এ বিদ্যালয়ে যুক্ত হয় প্রথম আলো ট্রাস্ট। প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিকে উন্নীত হয়। নাম হয় বাবুডাইং আদিবাসী আলোর পাঠশালা।
আশেকুর রহমান গত বছর এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন।