Last Updated on জানুয়ারি ১৬, ২০২৫ by
বর্ধিত ভ্যাট ও এসডি প্রত্যাহারের দাবি রেস্তোরাঁ মালিকদের
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বর্ধিত ১৫% ভ্যাট ও ১০% এসডি প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে জেলা রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি।
মানববন্ধন ছাড়াও র্যালি এবং জেলা প্রশাসক ও কাস্টমস কর্মকর্তাকে স্মারকলিপি দেয়া হয়।
বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ সমিতি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি জামাল উদ্দিন নাসের ও ঘোষ হোটেলের ওমর ফারুক। এসময় জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী হিরাসহ বিভিন্ন রেস্তোরাঁর মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।
স্মারকলিপির একাংশে বলা হয়েছে, বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান মরডর ইন্টেলিজেন্সের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ এ বাংলাদেশের রেস্তোরাঁ শিল্পের আকার ৩.৭৯ বিলিয়ন ইউএস ডলার। আর বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০১৯-২০২০ এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী জিডিপিতে হোটেল ও রেস্তোরাঁর অবদান অবদান ০.৭৯%।
স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়েছে- বাংলাদেশ পরিসংখ্যার ব্যুরোর তথ্য অনুযয়ী, সারাদেশে ৪ লাখ ৮৫ হাজারের অধিক রেস্তোরাঁ রয়েছে। এর মধ্যে, রেস্তোরাঁ সমিতির সদস্য সংখ্যা ৬০ হাজার। এই সেক্টরে কর্মরত রয়েছেন ৩০ লাখ শ্রমিক-কর্মকর্তা-কর্মচারী। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ২ কোটি মানুষ এই সেক্টরের ওপর নির্ভরশীল।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, বিগত অর্থবছরে ভ্যাটের হার কমানোর ফলে ভ্যাট আদায় ১৯% বেড়েছে, যা এনবিআর চেয়ারম্যান মহোদয় বলেছেন। আমরা ভ্যাট ৩% নির্ধারণের দাবি জানিয়ে আসছিলাম, যাতে করে মানুষের ভ্যাট দেওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায় ও সরকারের ভ্যাট আদায় আরো বাড়ে।
স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়, সরকারের বর্তমান সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রেস্তোরাঁর ওপর ৫% থেকে বর্ধিত করে ভ্যাট ১৫% করা হচ্ছে এবং সম্পূরক শুল্ক (এসডি) নামে পূর্বে আরো একটি ১০% করের বোঝা সাধারণ মানুষের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদি বর্ধিত ভ্যাট ১৫% ও সম্পূরক শুল্ক (এসডি) ১০% করা হয় তবে সাধারণ ভোক্তাকে মোট ২৫% কর প্রদান করতে হবে। এ অবস্থায় ভোক্তার নিকট হতে কোনোভাবেই এই ২৫% বাড়তি কর আদায় করা সম্ভব হবে না। রেস্তোরাঁ সেক্টরের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও ভোক্তার ওপর অযৌক্তিক হারে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক নির্ধারণের সিদ্ধান্ত অন্যায় ও অযৌক্তিক। তাই এই বর্ধিত ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করতে হবে। সরকারের এই ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে বিপুল সংখ্যক ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং এতে মূল্যস্ফীতি ও কর্মসংস্থানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ভ্যাটের সাথে ট্যাক্সেশনও জড়িত। যেহেতু বাজার ব্যবস্থায় একটি-আরেকটির ওপর নির্ভরশীল, সেহেতু এর প্রভাব অন্য সকল ক্ষেত্রেও দেখা যাবে। রেস্তোরাঁ খাতটি বিক্রয়ের ওপর ভ্যাট ও আয়ের ওপর কর প্রদান করে। অপরদিকে যে হারে আপনারা (সরকার) ট্যাক্স নির্ধারণ করেন তা জটিল ও বাস্তবসম্মত নয়। ভ্যাটের সাথে বাড়তি ট্যাক্সের বোঝা বইতে হবে দেশের সাধারণ জনগণকে। দেশের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ব্যবসার ওপর এর প্রভাব সব থেকে বেশি দেখা যাবে। এতে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে। তাই বর্ধিত ১৫% ভ্যাট ও ১০% এসডি প্রত্যাহার করতে হবে।