শুক্রবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৬ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

Last Updated on সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪ by

বদলে যাচ্ছে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের নাম

‘সেন্সর’ শব্দটিকে আমরা বাদ দিয়ে দিচ্ছি। ২০২৩ সালের বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন অনুযায়ী দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রজ্ঞাপন দিয়ে সার্টিফিকেশন বোর্ডকে পুনর্গঠন করব গত বুধবার এক বৈঠকে এমনটাই বললেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর নতুন করে সাজানো হচ্ছে সবকিছু। প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে গত রোববার ১৫ সদস্যের সেন্সর বোর্ড সদস্যদের নাম ঘোষণা করে তথ্য মন্ত্রণালয়। চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্টদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল পুরনো ‘সেন্সর’ প্রথা বাদ দিয়ে গ্রেডিং বা রেটিং পদ্ধতি চালুর। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার এসে আগের মতোই সেন্সর বোর্ড পুনর্গঠন করায় উঠে তীব্র সমালোচনা। বিগত সরকারের আমলেই চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন পাস হয়েছে। সেটা থাকার পরও সেন্সর বোর্ড কেন পুনর্গঠন হলো এমন প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে। সমালোচনার মুখে গত মঙ্গলবার এ নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় জানায়, ২০২৩ সালের চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইনটি গেজেট আকারে প্রকাশিত হলেও এ আইনের অধীনে এখনো বিধিমালা প্রণয়ন করা যায়নি বিধায় আইনটি কার্যকর করা সম্ভব হচ্ছে না। দ্রুততার সঙ্গে বিধিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে। বিধিমালা প্রণয়ন হলেই আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন শুরু হবে। একই সুরে কথা বললেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। সেন্সর শব্দটি আর থাকছে না জানিয়ে এদিন মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নাহিদ বলেন, ‘২০২৩ সালের চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইনটিও অনেক ত্রুটিপূর্ণ। সেই আইনের ত্রুটি নিয়ে প্রাথমিকভাবে আলোচনা হয়েছে। সেই আইনটি নানা অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে সংশোধনের জন্য আমরা কাজ করব। সেই প্রস্তাবনা তৈরি করা হবে। আপাতত আমাদের সিনেমা শিল্পে যেন আর্থিক ক্ষতি না আসে সেজন্য। যেহেতু প্রচুর সিনেমা পেন্ডিং রয়েছে, সেগুলো দ্রুত মুক্তির ব্যবস্থা করার জন্য দ্রুত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সার্টিফিকেশন বোর্ড গঠন করা হবে। আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে না, এমনভাবে প্রজ্ঞাপন দিয়ে আপৎকালীন সার্টিফিকেশন বোর্ড পুনর্গঠন করে কাজ শুরু করব।’

About The Author

শেয়ার করুন