Last Updated on অক্টোবর ৬, ২০২৪ by
বটতলায় দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুর
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার বটতলাহাট এলাকায় মা ভবানী দুর্গা ও কালীমাতা মন্দিরে নির্মাণাধীন দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। গত শনিবার রাতে কোনো একসময় এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম জানিয়েছেন, যে বা যারাই এ কাজ করে থাকুক না কেন তাদেরকে ছাড় দেয়া হবে না।
রবিবার সকালে প্রতিমা ভাঙার বিষয়টি নজরে এলে স্থানীয়রা মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দকে অবহিত করে। পরবর্তীতে মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ, পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. তাছমিনা খাতুন, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম জাকারিয়া, জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি ডাবলু কুমার ঘোষ ও সাধারণ সম্পাদক ধনাঞ্জয় চ্যাটার্জিসহ পূজা কমিটির নেতৃবৃন্দ।
মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক জয় কর্মকার বলেন, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ এ মন্দিরে পূজা উদ্যাপন করে আসছেন। এরকম ঘটনা কোনো দিন ঘটেনি। এ ম-পে প্রতিমা তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছিল। প্রতিমায় শুধুমাত্র রঙ করার কাজ বাকি ছিল। এরই মধ্যে শনিবার রাতে কোনো একসময় দুর্বৃত্তরা প্রতিমার গলা থেকে মাথা ও হাত ভেঙে ফেলে দেয়।
এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম জাকারিয়া জানান, এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ কাজ শুরু করেছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি ডাবলু কুমার ঘোষ বলেন, ‘আমরা ভাবতে পারিনি এমন ঘটনা ঘটে যাবে। একেবারে শেষ মূর্হুতে এ ঘটনা ঘটল। দেবী দুর্গার মাথাসহ হাত ও হাতের আঙুল ভেঙে ফেলা হয়েছে। যা স্বল্প সময়ের মধ্যে মেরামত করা দুষ্কর। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আমাদের সঙ্গে জেলা পুলিশের কর্মকর্তারাও ছিলেন। তিনি জানান, আজ বিকেলে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সেনাবাহিনীর চাঁপাইনবাবগঞ্জে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ আমরা জরুরি এক সভায় মিলিত হয়েছিলাম। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ম-পগুলোয় আমাদের লোক পাহারায় থাকবে এবং সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। ভেঙে ফেলা প্রতিমাটি হয় সংস্কার অথবা অন্য কোনো স্থান থেকে পেলে নতুন প্রতিমা স্থাপন করে পূজা করা যাবে।
এ ব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম বলেনÑ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রতিটি ম-পে পূজা কমিটির পক্ষ থেকে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে এবং সার্বক্ষণিক পাহারা দিতে হবে। যদি কোনো কারণে কোনো ম-পে লোক না থাকে তাহলে পুলিশকে জানাতে হবে।
প্রতিমা ভাঙচুরের ব্যাপারে পুলিশ সুপার বলেন, যে বা যারাই এ কাজ করে থাকুক না কেন তাদেরকে ছাড় দেয়া হবে না।