শুক্রবার, ১১ জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৭ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৫ মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

Last Updated on জুলাই ৪, ২০২৫ by

ফ্লোরিডায় ২শ’ মার্কিন মেরিন সেনা মোতায়েন

ফ্লোরিডায় প্রায় ২শ’ মার্কিন মেরিন সেনা মোতায়েন করা হয়েছে বৃহস্পতিবার। তারা দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় এই রাজ্যে চলমান অভিবাসনবিরোধী অভিযানগুলোতে প্রশাসনিক ও লজিস্টিক সহায়তা দেবে। ওয়াশিংটন থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়। এই মোতায়েন যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের অনুরোধে প্রথম ধাপে করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)-কে সহায়তা দেওয়া হবে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রধান অগ্রাধিকার অভিবাসন দমন কার্যক্রম সফল করতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ ৭০০ সেনা মোতায়েনের অনুমোদন দিয়েছেন। আমেরিকার দক্ষিণের অঙ্গরাজ্য লুইজিয়ানা ও টেক্সাসেও অতিরিক্ত সেনা পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। মার্কিন নর্দার্ন কমান্ড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘এই মিশনে অংশ নেওয়া সেনা সদস্যরা আইসিই-এর বিভিন্ন স্থাপনায় আইন প্রয়োগের সঙ্গে জড়িত নয় এমন দায়িত্ব পালন করবেন।’ তাদের দায়িত্ব হবে প্রশাসনিক ও লজিস্টিক কাজকেন্দ্রিক। আইসিই হেফাজতে থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে সরাসরি কোনো যোগাযোগ বা হেফাজত প্রক্রিয়ার কোনো অংশে জড়িত থাকতে নিষেধ করা হয়েছে। সপ্তাহের শুরুতে ফ্লোরিডায় নতুন এক অভিবাসী আটক কেন্দ্রে পরিদর্শনে যান ডোনাল্ড ট্রাম্প। ‘অ্যালিগেটর আলকাট্রাজ’ নামে পরিচিত এই কেন্দ্রটিতে একসঙ্গে ১ হাজার জন পর্যন্ত রাখা যায়। এ মোতায়েন আসে এক মাসের মাথায়, যখন ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসে ৪ হাজার ন্যাশনাল গার্ড সদস্য ও ৭শ’ মেরিন সেনা পাঠায় ট্রাম্প প্রশাসন। আইসিই পরিচালিত অভিবাসনবিরোধী অভিযানের প্রতিবাদে সেখানে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ক্যালিফোর্নিয়ার কর্মকর্তারা এই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেন। তারা বলেন, সামরিক বাহিনীর ব্যবহার পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করেছে, যা স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সামাল দিতে পারত। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, অশান্তি দমন এবং ফেডারেল সম্পদ ও কর্মীদের রক্ষা করতেই এই মোতায়েন জরুরি ছিল।

About The Author

শেয়ার করুন