Last Updated on নভেম্বর ১১, ২০২৪ by
ফিলিপাইনে চতুর্থ টাইফুনের আঘাত, হাজার হাজার গ্রাম খালি করার নির্দেশ
এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ফিলিপাইনে চতুর্থ টাইফুন আঘাত হেনেছে। এমন পরিস্থিতিতে হাজার হাজার গ্রাম খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বন্দরগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপি তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। খবরে বলা হয়, স্থানীয় সময় সোমবার কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। টাইফুন তোরাজি (স্থানীয়ভাবে ‘নিকা’ নামে পরিচিত) রাজধানী ম্যানিলার প্রায় ২২০ কিলোমিটার (১৪০ মাইল) উত্তর-পূর্বে অরোরা প্রদেশের দিলাসাগ শহরের কাছে এবং দেশটির উত্তর-পূর্ব উপকূলে আঘাত হেনেছে। এতে হতাহতের বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো তাৎক্ষণিক খবর পাওয়া যায়নি বলে দেশটির জাতীয় আবহাওয়া সংস্থা পিএজিএএসএ জানিয়েছে। এদিকে সরকার রোববার সকালে ২৫০০টি গ্রাম খালি করার নির্দেশ দিয়েছে। তবে জাতীয় দুর্যোগ অফিস এখন পর্যন্ত কতজন আশ্রয় নিয়েছে তা বলতে পারেনি। সাম্প্রতিক টাইফুনে সবচেয়ে বেশি আঘাত হানতে পারে এমন এলাকায় স্কুল ও সরকারি অফিস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জাতীয় আবহাওয়া সংস্থা দেশের উত্তর অঞ্চলজুড়ে প্রচ- বাতাস এবং ভারি বৃষ্টিপাতের সঙ্গে লুজন প্রধান দ্বীপের উপকূলকে বিশাল ঢেউয়ের সতর্কবার্তা দিয়েছে। সোমবার একটি উপকূলরক্ষীর তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৭০০ জন যাত্রী বন্দরে আটকা পড়েছিল। আবহাওয়া পরিষেবা সতর্ক করে জানিয়েছে, সমুদ্রে ভ্রমণ এখন ঝুঁকিপূর্ণ। সব নাবিককে অবশ্যই বন্দরে থাকতে হবে। যারা ইতিমধ্যেই সাগরে রয়েছেন, তাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। চলতি বছরে এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে তিনটি ঘূর্ণিঝড়ের কারণে দেশটিতে ১৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে মারাত্মক গ্রীষ্মম-লীয় ঝড় ট্রামি (স্থানীয় নাম : ক্রিস্টিন) এবং সুপার টাইফুন কং-রে (স্থানীয় নাম : কুইনি) আঘাত হানে। জাতীয় দুর্যোগ সংস্থা বলেছে, এই সংখ্যার বেশির ভাগ মৃত্যুই ট্রামির কারণে হয়েছে। প্রতিবছর প্রায় ২০টি বড় ঝড় এবং টাইফুন দ্বীপপুঞ্জের দেশ ফিলিপাইনে বা এর আশপাশের জলে আঘাত হানে। তবে সাম্প্রতি একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ঝড়গুলো এখন ক্রমবর্ধমানভাবে উপকূলরেখার কাছাকাছি তৈরি হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে স্থলে তা-ব চালাচ্ছে দীর্ঘ সময় ধরে।