
আমি মনে করে একটি প্রতিষ্ঠানে প্রবীণরা হলে সম্পদ। তাদের কাছে অনেক কিছু শেখার আছে নবীনদের। তাদের পুর্ব অভিজ্ঞতার গল্প গুলোই আমাদের জন্য এক একটি লিসেন লার্ন।
কিন্তু বর্তমানে অনেক নবীনরাই গড়ে তুলেছেন নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান এবং পোঁছে গেছে সাফল্যের চুড়ায়। বাংলাদেশের এমন অনেক তরুণদের প্রতিষ্ঠান আছে যারা অত্যান্ত সফল এবং প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের মুলধন এখন মাল্টি বিলিয়ন। সেই সব প্রতিষ্ঠানে কিন্তু কোন প্রবীণরা কাজ করে না, ডিসিশন মেকিং থেকে শুরু করে ফিল্ড পর্যায়ে সব কাজই করে তরুণরা। কিন্তু সেই প্রতিষ্ঠানে আবার প্রবীণদের রেখেছে মাথার উপর, অ্যাডভাইজর হিসেবে, তাদের ভুলত্রুটি ধরে দেবার জন্য। কারণ তারা জানে প্রবীণরা সম্পদ এবং তারা এটাও জানে এই প্রবীণদের অভিজ্ঞতা কিভাবে কাজে লাগানো যায়।
কিন্তু এই তরুনরা কিভাবে সফল হচ্ছে? তাদেরকে সফলতার চুড়ায় পৌঁছাতে সাহায্য করেছে তাদের সৃজনশীলতার, অদম্য মনবল, রিস্ক নেয়ার সাহস,কঠিন পরিশ্রম এবং নতুন কিছু করার নেশা।
অন্যদিকে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রবীণরা যেনো কিছুতেই নবীনদের তেমন সুযোগ দিতে চাননা। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে ঝামেলা মনে করেন।
তারা হয়তো ভাবেন যে তরুণদের স্পেস দিলে তারা হয়ত তাদেরকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে। কিন্তু আদোও কি এমন হবার কোন সুযোগ আছে?
প্রবীণদের দীর্ঘ দিনের কর্ম অভিজ্ঞতা, দুরদর্শীতা, সিদ্ধান্ত নেবার দক্ষতা, কর্ম পরিকল্পনা দক্ষতার সামনে কিভাবে একজন নবীন দাঁড়াতে পারে? হয়তবা নবীনরা প্রবীণদের চেয়ে টেকনোলজিক্যালি কিছুটা এ্যাডভান্স।
তবে সব প্রবীণরাই যে এমন তা কিন্তু না, অনেকেই আছেন যারা প্রবীণদের নিজহাতে কাজ শেখান।
আমি মনে করি প্রবীণরা নবীনদের পথ দেখাবেন, তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন, নবীনদের ভুল সংশোধন করে তাদের উৎসাহিত করবেন, নবীনদের সৃষ্টিশীলতা, তাদের দূরন্তপনা, টেকনলোজি এ্যাডভান্সমেন্ট কে কাজে লাগিয়ে সামনের দিকে নিয়ে যাবেন এবং নবীনদের উচিত প্রবীণদের যথাযথ সম্মান করা এবং তাদের কাছ থেকে যতটুকু সম্ভব কাজ শিখে নেয়া। আপনি কাজ না জানলে কর্মজীবনে আপনি কোথাও ভালো স্থান পাবেন না। আর অন্যকে সম্মান দিলে আপনিও সম্মান পাবেন।
হাসান তানভীর