এবার প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য সঞ্চয় স্কিম চালুর সুযোগ দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। মাসিক কিংবা ত্রৈমাসিক কি¯ি ভিত্তিক এ সঞ্চয় স্কিম খুলতে পারবেন প্রবাসীরা। সঞ্চয় স্কিমের মেয়াদ এক বছর কিংবা এর অধিক হতে পারবে। সঞ্চয় স্কিমের স্থিতি জামানত রেখে ঋণ নেয়ারও সুযোগ পাবেন তারা। রবিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
বর্তমানে প্রবাসীদের জন্য তিন ধরনের সঞ্চয় বন্ড চালু রয়েছে। এগুলোতে কেবল বৈদেশিক মুদ্রায় বিনিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছে। এখন স্থানীয় মুদ্রা টাকায়ও বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া হলো।
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রবাসী বাংলাদেশীদের কষ্টার্জিত অর্থ বিনিয়োগে আনতে এবং তাদের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার স্বার্থে এ উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে প্রবাসে কর্মরতরা বিশেষ করে স্বল্প আয়ের প্রবাসীরা এ সঞ্চয় স্কিমের দ্বারা উপকৃত হবেন।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, বিদেশ থেকে ব্যাংকিং চ্যানেলে কিংবা এক্সচেঞ্জ হাউজের মাধ্যমে প্রেরিত রেমিটেন্স নগদায়নের মাধ্যমে, বাংলাদেশে বেড়াতে আসার সময় প্রবাসীর সঙ্গে আনীত বৈদেশিক মুদ্রা দ্বারা এবং প্রবাসীদের নামে পরিচালিত বৈদেশিক মুদ্রা হিসাবের স্থিতি নগদায়নের মাধ্যমে সঞ্চয় স্কিমে অর্থ জমা করা যাবে। বিদেশ গমনের পূর্বেই কোনো জমা প্রদান ছাড়াই এ-জাতীয় হিসাব খোলা যাবে। এসব সঞ্চয় স্কিমে প্রতিযোগিতামূলক হারে সুদ প্রদান করতে পারবে ব্যাংক। একই সাথে বৈদেশিক মুদ্রা নগদায়নের মাধ্যমে পরিচালিত হিসাব বিবেচনায় সুদে বিশেষ সহায়তা প্রদানের কথাও সার্কুলারে বলা হয়েছে।
সঞ্চয় স্কিমের মেয়াদ পূর্তিতে হিসাবধারী অনিবাসীর মনোনীত ব্যক্তিকে ব্যাংক জমাকৃত অর্থ সুদসহ প্রদান করতে পারবে। তবে বিকল্প ব্যবস্থায় সঞ্চয় স্কিমের স্থিতি দ্বারা প্রবাসী ব্যক্তি নতুন করে তার নামে স্থায়ী আমানত হিসাব খুলতে পারবে। স্থায়ীভাবে দেশে চলে আসার পর ওই হিসাবের স্থিতি এককালীন কিংবা পেনশন পদ্ধতিতে মাসিক বা ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে হিসাবধারী গ্রহণ করতে পারবে। সঞ্চয় স্কিম চলাকালীন হিসাবধারী দেশে প্রত্যাবর্তন করলে ও স্থানীয় উৎসের আয় দ্বারা ওই স্কিম নিবাসী হিসাবের ন্যায় পরিচালনা করতে পারবে। এছাড়া বিদেশে অবস্থানকালে উপযুক্ত কারণে অর্থের প্রয়োজন হলে আবেদন দাখিলসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় অর্থ বিদেশে প্রেরণের বিষয় বাংলাদেশ ব্যাংক বিবেচনা করবে বলেও সার্কুলারে সুবিধা রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ প্রবাসীদেরকে স্থানীয়ভাবে আর্থিক সুরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করতে সহায়তা করবে। ফলে স্থায়ীভাবে দেশে আসার পর প্রবাসীদের আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না বলেও জানান তিনি।