বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১১ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৮ জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

Last Updated on মার্চ ৩, ২০২৫ by

প্রথম দিন থেকেই জমে উঠেছে ইফতারি বাজার

প্রতি রমজানেই থাকে নানান ধরনের ইফতারির আয়োজন। ভোক্তাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই রেস্টুরেন্টগুলো তৈরি করে এসব ইফতারি। আর ভোক্তারা যে যার সাধ্যমত সেইসব ইফতারি ক্রয় করে বাড়ি কিংবা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে নিয়ে গিয়ে ইফতারি করেন। এবারো তার ব্যতিক্রম হয়নি। এবারো জেলাশহরের আলাউদ্দিন হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টসহ অন্যান্য রেস্টুরেন্ট ইফতারি বিক্রি করছে। বাদ যাচ্ছে না গ্রামীণ হাটবাজার। হাতের নাগালেই মিলছে নানান ধরনের ইফতার।
তাদের মধ্যে আলাউদ্দিন হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট এবার হাফ কাচ্চি বিরিয়ানি, জ্বালি কাবাব, জিলাপি, বেগুনি, মুড়ি, ছোলা, খেজুর, শসা, লাচ্ছি ও ৫০০ মিলি মিনারেল পানিসহ স্পেশাল ইফতার প্লেট-১ এর মূল্য ধরছে ৩০০ টাকা; গ্রিল চিকেন, নান, জ্বালি কাবাব, জিলাপি, বেগুনি, মুড়ি, ছোলা, খেজুর, শসা, লাচ্ছি ও ৫০০ মিলি মিনারেল পানিসহ স্পেশাল প্লেট-২ এর মূল্যও ৩০০ টাকা; ফ্রাইড রাইস, চিকেন মাসালা, মিক্সড ভেজিটেবল, জ¦ালি কাবাব, জিলাপি, বেগুনি, মুড়ি, ছোলা, খেজুর, শসা, লাচ্ছি, এক টুকরো আপেল ও ৫০০ মিলি মিনারেল পানিসহ স্পেশাল এই প্লেটের দামও ৩০০ টাকা; চিকেন বিরিয়ানি / মোরগ পোলাও, জ্বালি কাবাব, জিলাপি, বেগুনি, খেজুর, শসা ৫০ মিলি পানিসহ ইফতার প্লেটের দাম হচ্ছে ২০০ টাকা। হাফ প্লেট খাসির তেহারি, জ¦ালি কাবাব, বেগুনি, খেজুর, এক টুকরো আপেল, শসা ও পানিসহ এক প্যাকেট ইফতারির দাম হচ্ছে ১৯০ টাকা।
এছাড়া ভাজাপোড়ার মধ্যে প্রতি কেজি ছোলা ২৪০ টাকা, প্রতি কেজি নিমকি ৩০০ টাকা, প্রতি কেজি পেঁয়াজু ২৪০ টাকা, প্রতি পিস পেঁয়াজু ৮ টাকা, কিমা চপ প্রতি পিস ১৫ টাকা, আলু চপ ৮ টাকা, তিতা বড়া ৮ টাকা। মিষ্টির মধ্যে প্রতি কেজি জিলাপি ২৪০ টাকা, প্রতি পিস জিলাপি ১০ টাকা নিধারণ করেছে।
এদিকে রমজানের প্রথম দিন থেকেই ইফতারির বাজার জমে উঠেছে। শহর-গ্রাম-হাটবাজার থেকে শুরু করে পাড়া-মহল্লা- সবখানেই ছোট-বড় দোকানিরা জিলাপি, বেগুনি, পেঁয়াজু, তিতা বড়া, রান্না করা ছোলাসহ অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য দোকানের সামনে সাজিয়ে রাখছেন। বিশেষ করে টাটকা স্বাদ নিতে ক্রেতাদের আগ্রহের কারণে দুপুর ২টা থেকে অবিরাম ভাজা হচ্ছে জিলাপি।
সোমবার দেখা যায়, জেলাশহরের নিউমার্কেট, বড় ইন্দারা মোড়, পুরাতন বাজার, বিশ্বরোড, শান্তি মোড়, পিটিআই মোড়, খালঘাট, উদয়ন মোড়, হুজরাপুর, বাক্সপট্টি, অক্ট্রয় মোড়সহ প্রতিটি বাজার, রেস্টুরেন্ট ও ফাস্টফুডের দোকান এবং ফুটপাতের অস্থায়ী ও ভ্রাম্যমাণ দোকানে ইফতারির পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। সন্ধ্যা যত ঘনিয়ে আসে ভোক্তাদের ভিড়ও ততই বাড়তে থাকে।
এসব দোকানে নানান রকমের ইফতার সামগ্রী যেমনÑ মুড়ি, খেজুর, ছোলা, বেগুনি, পেঁয়াজু, তিতা বড়া, ফিরনি, হালিম, বিভিন্ন ধরনের কাবাব, নান-গ্রিল, শরবত, ঘোল, মাঠা, আখের রসসহ কোমলপানীয় এবং কলা, পেঁপে, তরমুজ, পেয়ারা, পাকা কলাসহ নানান ধরনের ফল বিক্রি করা হচ্ছে।

About The Author

শেয়ার করুন