প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

79

গত ৭ এপ্রিল, ২০২২ ইং তারিখ অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘বিটিসিনিউজ’ এবং ৮ এপ্রিল, ২০২২ ইং তারিখ চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে প্রকাশিত ‘দৈনিক চাঁপাই দর্পণ’-এ চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শাহ্্ নেয়ামতুল্লাহ কলেজ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদের শিরোনামগুলো হচ্ছে যথাক্রমেÑ ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জের শাহনেয়ামতুল্লাহ কলেজ, সভাপতি যখন অধ্যক্ষ ॥ নিজ বাড়িতে অফিস ॥ কলেজের নিয়ন্ত্রণ এনজিওর হাতে’ এবং ‘শাহনেয়ামতুল্লাহ কলেজ, সভাপতি যখন অধ্যক্ষ ॥ নিজ বাড়িতে অফিস ॥ কলেজের নিয়ন্ত্রণ এনজিওর হাতে’।
শিরোনামগুলো দেখলেই যে কেউই বুঝতে পারবেন, একটি মহল ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির সুনাম ক্ষুণœ করার জন্য এহেন হীন অপকর্ম চালিয়েছে। আর সংবাদগুলো পড়লে তা আরো বেশি প্রতীয়মান হয় যে, একটি মহল শাহ্্ নেয়ামতুল্লাহ কলেজের সুনাম ও ঐতিহ্য নষ্ট করার জন্য সুকৌশলে একের পর এক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রকৃতপক্ষে সংবাদে যেসব বিষয় তুলে ধরা হয়েছে তার আদৌ কোনো ভিত্তি নেই। প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, ‘সভাপতি যখন অধ্যক্ষ’ এবং ‘নিজ বাড়িতে অফিস’। এটা সবারই জানা বিষয় যে, সভাপতি কখনো অধ্যক্ষ হতে পারেন না, কিংবা অধ্যক্ষও কখনো সভাপতি হতে পারেন না। একটি কলেজ পরিচালিত হয় গভর্নিং বডি দ্বারা। কলেজের প্রয়োজনে কখনো কখনো সভাপতির বাড়ি যাওয়ার অর্থ এই নয় যে, নিজ বাড়িতে বসে সভাপতি অফিস করছেন। এ ধরনের শব্দ চয়ন সংবাদের দুর্বলতায় প্রকাশ করে।
প্রকাশিত সংবাদে কলেজ গভর্নিং বডি ও সভাপতিকে নিয়ে অনেক মিথ্যা, মনগড়া তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রকৃত সত্য হলো, অধ্যক্ষ সাইদুর রহমান গভর্নিং বডির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর তাঁর প্রজ্ঞা ও দক্ষতায় কলেজকে গতিশীল ও আর্থিক বিশৃঙ্খলা দূর করে ভৌত কাঠামো উন্নয়ন ও সংস্কারের আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সরকারের ডিজিটালাইজেশনের অংশ হিসেবে কলেজকে ডিজিটালের আওতায় আনার চেষ্টা করছেন। অনিয়ম-দুর্নীতি রুখতে একটি স্বচ্ছ প্ল্যাটফর্ম দাঁড় করানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে কলেজের পেমেন্ট সিস্টেম সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড করা হয়েছে। গভর্নিং বডির এসব কর্মকা-ে সাফল্যতায় ঈর্ষান্বিত ও তাদের আর্থিক স্বার্থ ক্ষুণœ হওয়ায় একটি মহল বারবার গভর্নিং বডিকে হেয় করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রকাশিত সংবাদে আরো বলা হয়েছে, কলেজের নিয়ন্ত্রণ এনজিওর হাতে এবং কলেজের সকল অনলাইন কার্যক্রম এবং কলেজের গোপন পিন নম্বর একটি এনজিও (প্রয়াস) (যা কলেজের পরিচালনা পর্ষদের একজন সদস্যের দ্বারা পরিচালিত) দিয়ে কাজ করাচ্ছেন। আসলে প্রয়াসের নির্বাহী পরিচালক অত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একজন দাতা সদস্য। গ্রীনভিউ স্কুলের অভিজ্ঞতার আলোকে কলেজের প্রয়োজনে ওয়েবসাইট তৈরি ও এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সফটওয়্যারের জন্য বিভিন্ন আইটি ফার্মের কাছ থেকে প্রপোজাল লেটার নেয়া হয়। প্রয়াস আইটি ফার্মও প্রপোজাল সাবমিট করে। আর্থিক সাশ্রয় এবং সুযোগ-সুবিধা বিবেচনায় নিয়ে প্রজেক্ট কমিটি ও গভর্নিং বডি এ কাজে প্রয়াস আইটি ফার্মকে নিযুক্ত করে এবং চুক্তি অনুযায়ী তারা কাজও শুরু করে। প্রকাশিত সংবাদে আরো বলা হয়েছে, এনজিওর লোককে দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। চুক্তি অনুযায়ী দক্ষ লোক তৈরি না হওয়া পর্যন্ত প্রয়াস আইটি ফার্মকে এ-সংক্রান্ত কাজে জনবল সাপোর্ট (অপারেটর) দিতে হবে।
প্রকাশিত সংবাদে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বরাত দিয়ে যে বক্তব্য ছাপা হয়েছে, তাতেও মিথ্যা, মনগড়া এবং ভিত্তিহীন কাহিনীর আশ্রয় নেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদকের সঙ্গে এ ধরনের কোনো কথায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের হয়নি।
প্রকাশিত সংবাদে কলেজের সুনাম ক্ষুণœ করার জন্য একটি সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোয় একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কোনো অভিযোগেই তারা সফল হতে না পেরে প্রায় একই বিষয়ে বারবার কলেজের নামে মামলা-মোকাদ্দমা দিয়ে নিয়োগ কার্যক্রম ব্যাহত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই সিন্ডিকেট একটি মাত্র পত্রিকা দৈনিক চাঁপাই দর্পণকে দিয়ে এ যাবৎ রিপোর্ট করিয়ে আসছে। অন্য গণমাধ্যমে যে রিপোর্ট হয়েছে তাঁর প্রতিনিধিও চাঁপাই দর্পণের সম্পাদক।
প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ ভুল, মিথ্যা, বানোয়াট এবং কলেজ গভর্নিং বডিসহ সভাপতি ও প্রয়াসকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য। আমি প্রকাশিত মিথ্যা, বানোয়াট, মনগড়া ও ভিত্তিহীন সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।

মো. হাকিকুল ইসলাম
অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত)
শাহনেয়ামতুল্লাহ কলেজ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ